গৌতম মণ্ডল, দক্ষিণ ২৪ পরগনা : নিম্নচাপ ( Depression ) ও ঘূর্ণিঝড়ের ( Syclone ) জোড়াফলায় দুর্যোগের ভ্রুকুটি দক্ষিণ ২৪ পরগনাজুড়ে। বৃহস্পতিবার থেকেই আকাশের মুখ ভার। রাতে ও সকালে দফায় দফায় বৃষ্টি হচ্ছে কাকদ্বীপ মহকুমাজুড়ে। জেলাজুড়ে কমলা সতর্কতা জারি
শীত পড়ার আনন্দে যখন বাংলা ধীরে ধীরে কম্বলখানি বের করার তোড়জোড় করছিল, তখনই ফের বৃষ্টির ভ্রকুটি। আবহাওয়া দফতরের (Metrological Department) পূর্বাভাস অনুযায়ী, বঙ্গোপসাগরে গভীর থেকে অতি গভীর নিম্নচাপ, সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়া বইবার সম্ভাবনা আছে। বঙ্গোপসাগরে (Bay of Bengal) তৈরি হওয়া নিম্নচাপ শক্তি বাড়িয়ে পরিণত হয়েছে গভীর নিম্নচাপে (Deep Depression)। অবস্থান করছে দিঘা থেকে ২৮০ কিমি দূরে। এর রেশ পড়তে শুরু করেছে উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে।
দক্ষিণ ২৪ পরগনায় বৃষ্টির পাশাপাশি সকাল থেকে দমকা বাতাস বইতে শুরু করেছে শুক্রবার সকাল থেকেই। উপকূল এলাকায় ঘন্টায় পঞ্চাশ কিলোমিটার বেগে বাতাস বইতে পারে। বেলা যত বাড়ছে, ততই আকাশ কালো মেঘে ঢেকে যাচ্ছে। আবহাওয়া দফতরের পক্ষ জানানো হয়েছে, বঙ্গোপসাগরে একটি নিম্নচাপ তৈরি হয়েছে, যা ক্রমশ শক্তিশালী হয়ে, পরে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। বৃহস্পতিবার থেকে মৎস্যজীবীদের জন্য সতর্কতা জারি করেছে মৎস্য দপ্তর। এই মুহূর্তে সমুদ্র উত্তাল। প্রশাসনের পক্ষ থেকে মৎস্যজীবীদের আগামী দুই দিন নদীতে ও সমুদ্রে নামতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
এদিকে মহকুমা প্রশাসনের পক্ষ থেকে দুর্যোগ মোকাবিলায় সব রকমের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। সেচ দফতরের আধিকারিকদের সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি ব্লক অফিস ও পঞ্চায়েত গুলিকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। বেহাল নদী ও সমুদ্র বাঁধগুলির উপর নজর রাখতেও বলা হয়েছে। সমগ্র পরিস্থিতি দিকে নজর রাখছে মহকুমা প্রশাসন।
এই ঘূর্ণিঝড়ের নাম দেওয়া হয়েছে 'মিধিলি' (Cyclone Midhili Update)। নামকরণ করেছে মলদ্বীপ। শনিবার সকালে বাংলাদেশের উপকূল অতিক্রম করার কথা ঘূর্ণিঝড়ের।
এক নজরে দেখে নেওয়া যাক আগামী ৭ দিন সুন্দরবন অঞ্চলের আবহাওয়ার পরিস্থিতি
|
সূত্র : IMD
আরও পড়ুন :