দক্ষিণ ২৪ পরগনা: বন্ধুদের সঙ্গে স্নান করতে গিয়ে তলিয়ে গিয়েছিল স্কুল পড়ুয়া (School )। দুদিন পর মিলল দেহ। শুক্রবার গঙ্গা থেকে ওই ছাত্রের দেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। দক্ষিণ ২৪ পরগনার রবীন্দ্রনগর থানা এলাকার ঘটনা। গত বৃহস্পতিবার দুপুরে বন্ধুদের সঙ্গে স্নান করতে যায় মহেশতলা পৌরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের কানখুলি পোদিরহাটির বাসিন্দা বছর ১৭-র শেখ আমান। জানা গিয়েছে সাঁতার না জানার কারণে গঙ্গার পাড়েই বসেছিল ওই কিশোর। হঠাৎ জলের তোড়ে ভেসে যায় সে। দুই বন্ধু খোঁজ শুরু করলেও না মেলায়, ফোন যায় বাড়িতে।
এর পরেই খবর দেওয়া হয় পুলিশে। ডুবুরি নামিয়ে দিনভর তল্লাশি চললেও মেলেনি দেহ। শুক্রবার সকালে স্থানীয় জেলেরা নৌকা নিয়ে গঙ্গার ধার দিয়ে যাওয়ার সময়ে দেহটি দেখতে পেয়ে উদ্ধার করে। খবর দেওয়া হয় পুলিশে।
মৃতের আত্মীয়রা জানিয়েছেন, বিশেষভাবে সক্ষম হওয়ার কারণে আমানের উপার্জিত টাকাতেই সংসার চলত। পরিবারের বাবা মা ছাড়াও তার ছোট এক ভাইও রয়েছে। সন্তোষপুর কানখুলি হাই স্কুল থেকে এই বছরই আমান মাধ্যমিক পাস করেছিল। পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি সে দর্জির কাজ করত কিশোর। যদিও এই ঘটনায় কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি। আজ রবীন্দ্রনগর থানার পুলিশ একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে দেহটি ময়না তদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। তার পরেই পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হবে আমানের মৃতদেহ।
আগেও এক ঘটনা...
গত বছর জুলাই মাসে মালদার হবিবপুরেই শোওয়ার ঘর থেকে উদ্ধার হয়েছিল এক যুবকের ঝুলন্ত দেহ। ঘটনার দিন নিজের শোওয়ার ঘর থেকে যুবকের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। এলাকায় ওই ঘটনা ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়ায়। পরিবার সূত্রে জানা যায়, মৃতের নাম বাপ্পা শিকদার। বয়স মাত্র ২১। মৃত যুবকের কাকা জানিয়েছিলেন, ঘটনার আগের দিন রাতে খাওয়া দাওয়া সেরে নিজের ঘরে ঘুমোতে যান বাপ্পা। পর দিন সকালে নিয়মমাফিক ছেলেকে ডাকতে আসেন তার মা। কিন্তু হাজার ডাকাডাকি করলেও তার কোনও আওয়াজ মেলে না। তখনই আওয়াজ না পাওয়ায় মৃতের মা চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করে দেন। মৃতের কাকু এসে ঘরের দরজা ভেঙে দেখতে পায় ওই যুবক গামছা লাগানো অবস্থায় ঝুলে রয়েছেন। পরিবারের লোকজনই তাঁকে উদ্ধার করে তড়িঘড়ি বুলবুলচণ্ডী গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসক তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করে। কীভাবে মৃত্যু, আত্মহত্যা না অন্য কোনও কারণ রয়েছে, তা খতিয়ে দেখে হবিবপুর থানার পুলিশ। চলতি বছরের মে মাসে আবার, মুর্শিদাবাদের ধুলিয়ানে নিজের বাড়ি থেকেই উদ্ধার হয় যুবকের গলাকাটা রক্তাক্ত মৃতদেহ। খুনের অভিযোগ তোলেন নিহতের বাবা। তদন্তকারীদের অনুমান, সম্পত্তি নিয়ে অশান্তির জেরেই যুবককে খুন করা হয়েছে। মৃতের দাদাকে আটক করে সামশেরগঞ্জ থানার পুলিশ।