রঞ্জিত হালদার, বারুইপুর: ভুয়ো ট্রেন টিকিট পরীক্ষকের গ্রেফতারের (Fake TT Arrest) ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল লক্ষীকান্তপুর স্টেশনে। ধৃতের নাম সুপ্রতীক কুমার বন্দ্যোপাধ্যায়। দিল্লির বাসিন্দা অভিযুক্ত দক্ষিণ বারাসাতে বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকছিল। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বারুইপুর জিআরপি।
গ্রেফতার ভুয়ো টিকিট পরীক্ষক: পরনে কালো প্যান্ট ও সাদা জামা। নিজেকে টিকিট পরীক্ষক পরিচয় দিয়েই শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখার লক্ষীকান্তপুর স্টেশনে রেল যাত্রীদের টিকিট পরীক্ষা করছিলেন বছর ৪৫-এর এক ব্যক্তি। জামার বুকে লাগানো ছিল একটি নেমপ্লেট। যেখানে লেখা ছিল চিফ টিকিট ইন্সপেক্টর (CIT) হাওড়া। দেখে বোঝার উপায় ছিল না যে তিনি ভুয়ো টিকিট পরীক্ষক। লক্ষীকান্তপুর স্টেশনে থাকা সরকারি টিকিট পরীক্ষকদের বিষয়টি নজরে আসে। পরীক্ষকের জামার বুকে লাগানো নেমপ্লেটটি দেখেই তাঁদের সন্দেহ হয়। শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখার টিকিট পরীক্ষক অথচ নেমপ্লেটে লেখা আছে হাওড়া। সঙ্গে তাঁরা মধ্যবয়স্ক ওই টিকিট পরীক্ষককে চেপে ধরেন। চাপের মুখে তিনি জানান, কোনও এক ব্যক্তির কাছ থেকে তিনি এই কাজটি পেয়েছেন টাকার বিনিময়ে।
সরকারি টিকিট পরীক্ষকরা বারুইপুর আরপিএফকে খবর দেয়। বারুইপুর থেকে আরপিএফ -এর একটি টিম গিয়ে ওই ভুয়ো টিকিট পরীক্ষককে নিয়ে আসে। রাতে বারুইপুর জিআরপির হাতে তারা তুলে দেয়। ভুয়ো টিকিট পরীক্ষকের নাম সুপ্রতীক কুমার বন্দ্যোপাধ্যায়। বয়স আনুমানিক ৪৫ বছর। তার আসল বাড়ি দিল্লিতে। পুলিশ সূত্রে খবর, কয়েক বছর ধরেই দক্ষিণ বারাসাতে একটি ভাড়া বাড়িতে থাকছিল বলে পুলিশ সূত্রে খবর। ধৃত ভুয়ো টিকিট পরীক্ষক এদিন শিয়ালদহ আদালতে তুলবে বারুইপুর জিআরপি। তাকে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানানো হবে। বারুইপুর জিআরপি সূত্রে খবর, তাকে হেফজতে নিয়ে জানতে চাওয়া হবে, কার কাছ থেকে এই কাজ করার অনুমতি পেয়েছিল? আগে কোথায় কোথায় এই কাজ করেছে? এই কাজের পিছনে কোনও চক্র আছে কিনা।
এদিকে খড়গপুরে পাঁচিল তুলে রাস্তা বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ রেলের বিরুদ্ধে। খড়গপুরে রেল কলোনিতে RPF-এর সঙ্গে তীব্র বচসা স্থানীয় বাসিন্দারা। গতকাল ঘটনাস্থলে দক্ষিণ-পূর্ব রেলওয়ের খড়গপুর শাখার ADRM মনীষা গোয়েল পৌঁছলে, তাঁকে লক্ষ্য় করে স্লোগান দেয় স্থানীয়দের একাংশ। স্থানীয় সূত্রে খবর, খড়গপুরের রেল কলোনির বাসিন্দারা শহরে যাওয়ার জন্য দীর্ঘদিন ধরে এই শর্টকাট রাস্তা ব্যবহার করেন। নাহলে, ঘুরতে হয় অনেকটা রাস্তা। বাসিন্দাদের একাংশর অভিযোগ, কোনও নোটিস ছাড়াই, রেলের তরফে পাঁচিল তুলে বন্ধ করে দেওয়া হয় রেল কলোনির ভিতরের রাস্তা। এদিন সেই পাঁচিল নিয়ে আরপিএফের সঙ্গে বিবাদ বাধে বাসিন্দাদের। এমন পর্যায় পৌঁছল, যে শাবল দিয়ে পাঁচিল ভাঙতে শুরু করেন তাঁরা।