হিন্দোল দে, ক্যানিং: আর জি কর আবহেই ফের রাজ্যে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ। ক্যানিংয়ের এক লজে মহিলাকে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ তাঁর সঙ্গীর বিরুদ্ধে। লজ থেকে উদ্ধার মহিলার মৃতদেহ। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, ক্যানিংয়ের বাসিন্দা মহসিন মোল্লা ওই মহিলার পরিচিত। শুক্রবার দুপুরে একসঙ্গে ওই লজে উঠেছিলেন তাঁরা। এর কিছু ক্ষণের মধ্যেই মহিলা অসুস্থ হয়ে পড়েন। (Canning News)
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই মহিলা অসুস্থ হয়ে পড়লে লজের কর্মীদের সাহায্য়ে তাঁকে ক্যানিং বাজারে এক চিকিৎসকের চেম্বারে নিয়ে যান মহসিন। ওই চিকিৎসক জানান, মহিলার মৃত্যু হয়েছে। এর পরই সকলের নজর এড়িয়ে মহিলাকে সেখানেই ফেলে পালিয়ে যান ওই যুবক। এই ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। খোঁজ চলছে মহসিন নামের ওই যুবকের। লজের যে ঘরে উঠেছিলেন দু'জন, সেটিকে সিল করা হয়েছে। মহিলার দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ। (South 24 Parganas News)
লজের ম্যানেজার শুভঙ্কর সেনাপতি জানিয়েছেন, "গতকাল সকাল ১০টা বেজে ৫৫ মিনিটে সই করে লজে ঢোকেন ওঁরা। ঘরের ভিতরের কোনও ফুটেজ আমাদের কাছে থাকে না। কিছু ক্ষণ পর ওই যুবক জানান, মহিলার শ্বাসকষ্ট হচ্ছে। আমরাও যাই। ওই যুবক মহিলাকে জাগিয়ে তোলার চেষ্টা করছিলেন। এর পর আমরা সকলে মিলে ওঁকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাই।"
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, মহিলা মারা গিয়েছেন বলে চিকিৎসক জানাতেই, সঙ্গে সঙ্গে গা ঢাকা দেন মহসিন। এর পর, শুক্রবার রাতে ওই মহিলার দাদা মহসিনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ দায়ের করেছেন। সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতেই তদন্তপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ওই লজের কর্মীদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। তাতে ইতিমধ্যেই বেশ কিছু তথ্য হাতে এসেছে বলে জানা যাচ্ছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, গতকাল দুপুরে ওই লজে একসঙ্গেই ঢোকেন দু'জনে। পর লজের ঘর থেকে তাঁদের মধ্যে বচসা বাধে, যা বাইরে থেকেও শোনা যায়। এর পর ওই মহিলা অসুস্থ হয়ে পড়েছেন বলে লজের কর্মীদের জানান মহসিন। কী কারণে অসুস্থ হয়ে পড়েন, কী হয়েছে, তা যদিও খোলসা করেননি তিনি। তাই ঠিক ঘটেছিল, তা নিয়ে ধন্দ রয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলে মৃত্যুর কারণ স্পষ্ট ভাবে বোঝা যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।
এখনই কোনও সিদ্ধান্তে উপনীত হচ্ছে না পুলিশ। হৃদযন্ত্র বিকল হয়ে ওই মহিলা মারা গিয়েছেন, না কি খুন করা হয়েছে? কেন পালিয়ে গেলেন মহসিন? মহিলার মৃত্যুতে কি মহসিন সরাসরি যুক্ত? এমন একাধিক প্রশ্ন উঠে আসছে। ইতিমধ্যেই মহসিনের বাড়িতে যায় পুলিশের একটি দল। কিন্তু তাঁর খোঁজ মেলেনি। ক্যানিং থানার পুলিশ বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। তদন্তে নেতৃত্বে দিচ্ছে ক্যানিংয়ের এসডিপিও।