জয়দীপ হালদার, বকখালি: আজ সকালে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বকখালির সমুদ্র সৈকতে অজ্ঞাতপরিচয় এক ব্যক্তির মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল।  স্থানীয় বাসিন্দারা সৈকতে মৃতদেহটি পড়ে তাকতে দেখে খবর দেন ফ্রেজারগঞ্জ কোস্টাল থানায়। পুলিশ এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে। কী কারণে মৃত্যু তা স্পষ্ট নয়।  প্রাথমিকভাবে দেহে কোনও আঘাতের চিহ্ন মেলেনি। 


কিছুদিন আগে বকখালিতে একই পরিবারের তিনজনের অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়। সমুদ্র লাগোয়া জঙ্গলে একই গাছ থেকে উদ্ধার হয় বাবা-মা-ছেলের ঝুলন্ত দেহ। পুলিশ সূত্রে খবর, মৃত তিনজনই কুলপি এলাকার বাসিন্দা। গোয়েন্দাদের অনুমান, আর্থিক তছরুপের অভিযোগ নিয়ে অশান্তির জেরে আত্মঘাতী হয়েছেন তিনজন। ঘটনায় আটক করা হয়েছে পাঁচজনকে।


আর পাঁচদিনের মতো রবিবার দুপুরেও সমুদ্র সৈকত আবর্জনামুক্ত করার কাজে গিয়েছিলেন এলাকার কয়েকজন কর্মী। তাঁরাই প্রথম ভয়াবহ দৃশ্য দেখতে পান। ফাল্গুনী জানা নামে এক প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, ‘আমরা বিচে জঞ্জাল পরিষ্কার করি। দূর থকে দেখতে পাই কিছু ব্যাগ পড়ে রয়েছে। প্রথমে বুঝতে পারিনি। প্রথমে ভেবেছিলাম কেউ আছে। গিয়ে দেখি তিনজন ঝুলন্ত অবস্থায় আছে।’


ফ্রেজারগঞ্জ কোস্টাল থানার পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। ঘটনাস্থলে পৌঁছে সবকিছু খতিয়ে দেখে মৃতদেহগুলি ময়নাতদন্তে পাঠায় পুলিশ। কুলপি থেকে বকখালি প্রায় ৭২ কিলোমিটার দূরে। সমুদ্রের পাড়ে জঙ্গলের ভিতর তাঁদের অস্বাভাবিক মৃত্যু ঘিরে উঠছে নানা প্রশ্ন।


পুলিশ ও প্রতিবেশী সূত্রে খবর, প্রায় দু’মাস আগে একটি বেসকারি স্বনির্ভর গোষ্ঠীর টাকা তছরুপের অভিযোগ ওঠে এই পরিবারের বিরুদ্ধে। এই পরিবার টাকা তছরুপের অভিযোগ অস্বীকার করে। মৃত্যুর আগের রাতে কয়েকজন ব্যক্তি ওই পরিবারের ওপর চড়াও হয়ে মারধর করে। স্থানীয় সূত্রে খবর, ওই ঘটনার পর থেকে ঘরছাড়া ছিলেন বাবা-মা ও ছেলে।


সুন্দরবনের পুলিশ সূত্রে খবর, আর্থিক তছরুপের অভিযোগ নিয়ে টানাপোড়েনে আত্মঘাতী হয়েছেন তিনজন। যে বেসকারি স্বনির্ভর গোষ্ঠীর টাকা তছরুপের অভিযোগ উঠেছে, সেটি সম্পর্কে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে।