হিন্দোল দে, ভাঙড়: ভয়ের ভাঙড়ে ফের গুলি (Panchayat Poll Violence), বোমাবাজি। গুলিতে জখম চালতাবেড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের (Panchayat Election) পরাজিত তৃণমূল প্রার্থী (TMC) হাতেম মোল্লা। অভিযোগের তির আইএসএফের (ISF) দিকে। তৃণমূল প্রার্থীর কানের পাশে গুলি লেগেছে বলে তাঁর পরিবারের দাবি। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অভিযোগ, 
সন্ধেবেলায় তিনি একটি কাজে গিয়েছিলেন। সেখানে থেকে ফেরার পরে তাঁকে ঘিরে ধরেন আইএসএফ-এর বেশ কয়েকজন, তখনই তাঁর দিকে গুলি চালানো হয় বলে অভিযোগ। তাঁর মাথা ছুঁয়ে বেরিয়ে যায় গুলিটি। গতকাল রাতে চালতাবেড়িয়ার পানাপুকুর এলাকায় পরাজিত তৃণমূল প্রার্থীকে লক্ষ্য করে গুলি ও বোমা ছোড়ে আইএসএফ আশ্রিত দুষ্কৃতীরাওই ব্যক্তি আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঘটকপুকুরের একটি নার্সিংহোমে ভর্তি রয়েছেন। আইএসএফের প্রতিক্রিয়া এখনও মেলেনি। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে কাশীপুর থানার পুলিশ।


ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক ও ভাঙড়ের পর্যবেক্ষক সওকত মোল্লার দাবি, হামলার নেপথ্যে শুধু আইএসএফ নয়, বিজেপিরও হাত রয়েছে। একইসঙ্গে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তৃণমূল বিধায়ক। পুলিশ সক্রিয় নয়, ১৪৪ ধারা জারি থাকা সত্ত্বেও ভাঙড়ে কীভাবে বোমা-গুলি চলছে, প্রশ্ন সওকতের। আইএসএফ বা বিজেপির প্রতিক্রিয়া এখনও মেলেনি। 


এর আগে গত ১৫ জুন, মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিনে এই চালতাবেড়িয়াতেই তৃণমূল কর্মী রাজু নস্করকে পিটিয়ে মারার অভিযোগ ওঠে। পঞ্চায়েত ভোটের দিন ঘোষণা থেকে শুরু করে ভয়ের ভাঙড়ে ভোট-সন্ত্রাসে এ পর্যন্ত ৭ জনের মৃ্ত্যু হয়েছে।


পরিবারের দাবি তৃণমূল প্রার্থীর কানের পাশে গুলি লেগেছে। ১৪৪ ধারা থাকা সত্ত্বেও কীভাবে গুলি -বোমা চলছে? প্রশ্ন সওকত মোল্লার। সওকত মোল্লার অভিযোগ, 'বারবার প্রশাসনের কাছে অনুরোধ করেছি। কোনও রং না দেখে ভাঙড়ে চিরুনি তল্লাশি চালানো হোক। যে দলই হোক, এই কাজে যুক্ত থাকলে তার বিরদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হোক। ওইরকম ঘটনার পরে এখনও এমন ঘটনা চলছে। আমাদের দুর্ভাগ্য। একটা অংশের নিষ্ক্রিয়তার জন্য এমন ঘটছে। পুলিশ আরও একটু সক্রিয় হলে এমন হতো না। আইএসএফ-এর দুষ্কৃতীরা করেছে। ইচ্ছে করে এমন করছে যাতে ভাঙড় সহ গোটা বাংলায় এমন পরিস্থিতি তৈরি করা যায় যাতে বাংলায় ৩৫৫ জারি করা যায়। শুভেন্দুর হাত শক্ত করতে এমন করছে।' ভাঙড়ের ঘটনায় বিজেপিও নিশানা করেছেন সওকত মোল্লা।


বিজেপি নেতা রাহুল সিনহার দাবি, 'নিজেদের কুকর্ম ঢাকতে বিজেপির উপর দোষ চাপালে তো হবে না। ওখানে তৃণমূল হামলা চালাচ্ছে। আইএসএফ-এর কর্মীদের মারছে। তারই পাল্টা আইএসএফ-ও করছে। এর সঙ্গে তো বিজেপির কোনও লেনাদেনা নেই।'


আরও পড়ুন: এক আসনে ২ জন জয়ী প্রার্থী! শংসাপত্র 'বিভ্রাট' ঘিরে উঠছে প্রশ্ন