হিন্দোল দে, দক্ষিণ ২৪ পরগনা : অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) সভার দিন ডায়মন্ড হারবারে বিয়েবাড়িতে গুলি চালানোর ঘটনার মূল অভিযুক্ত গ্রেফতার। ডায়মন্ড হারবারের কপাটহাটে বিয়েবাড়িতে গুলি চালানোর ঘটনায় মূল অভিযুক্ত বাপ্পা মোল্লাকে গ্রেফতার করল পুলিশ। পারুলিয়ার গায়েনপাড়া থেকে গতকাল রাতে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। SDPO ডায়মন্ড হারবারের নেতৃত্ব অভিযান চালানো হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, জঙ্গলের মধ্যে লুকিয়ে বসে ছিলেন বাপ্পা। পুলিশ দেখে তিনি পালানোর চেষ্টা করলে পুলিশ কর্মীরা তাঁকে তাড়া করে ধরে ফেলেন। গত ১৫ নভেম্বর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কর্মসূচি ছিল ডায়মন্ড হারবারে। সেদিনই এই ঘটনা ঘটায় তোলপাড় পড়ে যায়। ঘটনাস্থলে যায় ডায়মন্ড হারবার পুলিশ জেলার সুপারের নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনী। গ্রেফতার করা হয় বাপ্পার ভাই বাচ্চুকে। বাপ্পার খোঁজে বিভিন্ন জায়গায় শুরু হয় তল্লাশি অভিযান। অবশেষে গতকাল রাতে বাপ্পাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক অপরাধমূলক কাজকর্মের অভিযোগ রয়েছে। 


অভিষেকের সভাস্থলের কাছেই ‘শ্যুটআউট’: স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, ডায়মন্ড হারবারের কপাটহাটে একটি বিয়েবাড়িতে অনুষ্ঠান চলছিল। সেই অনুষ্ঠান চলাকালীন হঠাৎই গুলির শব্দে কেঁপে ওঠে। আতঙ্কে নিমন্ত্রিতদের মধ্যে হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। যে যাঁর মতো ছোটাছুটি শুরু করে দেয়। এদিন বিকেলের দিকে গুলির আওয়াজ শোনা যায়। লক্ষ্যে নয়, শূন্য়ে গুলি চালানো হয় বলেই স্থানীয় সূত্রে খবর। এদিন ডায়মন্ড হারবারে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পর্যালোচনা বৈঠক ছিল। সেই সময় এই ঘটনা ঘটে। এদিন খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ বাহিনী। বিয়ে বাড়িতে উপস্থিতদের থেকে ঘটনার বিবরণ নেন তাঁরা। 


আরও পড়ুন- বাতিল হওয়া প্রার্থীদের অতিরিক্ত শূন্যপদে নিয়োগের আবেদন প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত, আদালতের প্রশ্নের মুখে পিছু হটল স্কুল সার্ভিস কমিশন


সাঁইথিয়ার বহড়াপুর গ্রাম: পঞ্চায়েত ভোটের এখনও বেশ কয়েক মাস বাকি। কিন্তু তার আগেই হুমকি-হুঁশিয়ারির যুদ্ধ যেমন শুরু হয়েছে, তেমনই ঝরতে শুরু করেছে রক্তও। ফের ঘটনাস্থল বীরভূম। ফের রক্তক্ষয়ী রাজনৈতিক সংঘর্ষে লাল রক্তে ভেসে গেল লাল মাটির জেলা। তৃণমূলের (Trinamool Congress) গোষ্ঠী-বিবাদের জেরে গতকালের বোমাবাজির পর, আজও থমথমে সাঁইথিয়ার বহড়াপুর গ্রাম। এখনও পর্যন্ত ১২ জন তৃণমূল কর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আজই সিউড়ি আদালতে (Suri Court) পেশ। এখনও পর্যন্ত ৩৫টি বোমা উদ্ধার করেছে বম্ব ডিসপোজাল স্কোয়াড। গতকালের বিস্ফোরণে তৃণমূল কর্মী শেখ সাদ্দামের ডান পা উড়ে যায়। তাঁকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হচ্ছে। ১৪ বছরের এক কিশোরও জখম হয়। সিউড়ি সদর হাসপাতালে ভর্তি কিশোরের গোটা শরীরে স্প্লিন্টারের আঘাত রয়েছে বলে জানা গেছে। অন্যদিকে, বহড়াপুর গ্রামে পুলিশি টহল চলছে। বসানো হয়েছে পুলিশ পিকেট। গোটা গ্রাম পুরুষ শূন্য। অশান্তির আশঙ্কায় বাচ্চাদের নিয়ে গ্রাম ছাড়ছেন মহিলারাও। যেখানে বোমাবাজি হয়, সেখানে সকালেও চাপ চাপ রক্তের দাগ। পড়ে আছে খালি বালতি। এই বালতি করেই বোমা নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল বলে অভিযোগ।