রঞ্জিত হালদার, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: নাবালিকা পরিচারিকাকে গণধর্ষণ করার অভিযোগ অভিযুক্ত গৃহকর্তা এবং তাঁর তিন প্রতিবেশী (Domestic Help Physical Assault)। এই ঘটনায় অভিযুক্ত দু'জন আবার নাবালকও। অভিযোগ পেয়ে দুই নাবালক-সহ চার অভিযুক্তকে গ্রেফতার করল পুলিশ (Arrest)।


ভাঙড়ে গণধর্ষণের অভিযোগ পরিচারিকার


দক্ষিণ ২৪ পরগনা (South 24 Pargans News) জেলার ভাঙড়ে এই ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গিয়েছে। নেহাত এক দিনের ঘটনা নয়, বরং বিগত দুই মাস ধরে ওই নাবালিকা লাগাতার গণধর্ষণের শিকার হচ্ছিলেন বলে অভিযোগ। কোনও ভাবে নাবালিকা প্রতিবেশীদের বিষয়টি জানালে, ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসে। অভিযোগ দায়ের হয় থানায়। গ্রেফতার হন চার জন (Crime News)।


পুলিশ এবং স্থানীয় সূত্রে খবর, এলাকার বাসিন্দা, এক ব্যক্তির বাড়িতে পরিচারিকার কাজ করত ওই নাবালিকা। ওই বাড়ির গৃহকর্তার স্ত্রী আইসিডিএস কর্মী। নাবালিকার অভিযোগ, স্ত্রী কাজে বেরিয়ে গেলেই তাঁকে ধর্ষণ করতেন গৃহকর্তা। এমনকি, পড়শি দুই নাবালক-সহ আরও তিন জনকে জনকে দিয়েও গণধর্ষণ করানো হয়। প্রতিবাদ করলে ঘরে আটকে রাখা হয় কিশোরীকে। 


আরও পড়ুন: Jadavpur University: গবেষণাপত্র নিয়ে আলোচনার জন্য কোয়ার্টারে ডেকে ছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা, অভিযোগ অধ্যাপকের বিরুদ্ধে


অভিযোগ, দীর্ঘ দিন ধরে অত্যাচার সহ্য করছিল ওই নাবালিকা। গৃহকর্তার হুমকিতে ভয়ে সিঁটিয়ে ছিল সে। কিন্তু গত শনিবার আর নিজেকে আটকে রাখতে পারেনি সে। প্রতিবেশী এক মহিলাকে গোটা ঘটনা খুলে বলে। তার পর বিষয়টি জানাজানি হয়। খবর পৌঁছয় থানায়। তাতেই পুলিশ এসে চার জনকে গ্রেফতার করে। 


এ দিকে, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে এক অধ্যাপকের বিরুদ্ধে ছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ করেছেন  আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের  এক ছাত্রী। অভিযুক্ত অধ্যাপকও ওই বিভাগেরই। ওই ছাত্রীর অভিযোগ, গবেষণাপত্র নিয়ে আলোচনার অছিলায় শনিবার দুপুরে কোয়ার্টারে ডেকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন ওই অধ্যাপক। কোনও রকমে পালিয়ে নিজেকে বাঁচান তিনি। 


যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ


রাজ্যের অন্যতম সেরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ ঘিরে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। তবে  এই অভিযোগ প্রসঙ্গে এখনও পর্যন্ত কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি অভিযুক্ত অধ্যাপকের তরফে।