হিন্দোল দে, গঙ্গাসাগর: শেষ মুহূর্তে সাগর মেলার প্রস্তুতি (Gangasagar Mela 2024)। নজরদারি থেকে নিরাপত্তা, সবেতেই বিশেষ তৎপর রাজ্য প্রশাসন। ওয়াচ টাওয়ার, সিসিটিভি, ড্রোনের মাধ্যমে চালানো হচ্ছে নজরদারি। স্নানের সময় দুর্ঘটনা রুখতে তৈরি রাখা হয়েছে সিভিল ডিফেন্স ও NDRF-কে।


সাগর মেলার প্রস্তুতি তুঙ্গে: আগামী সপ্তাহের শুরুতেই মকরস্নানের পুণ্য তিথি। তুঙ্গে গঙ্গাসাগরের প্রস্তুতি। ইতিমধ্যেই দেশের নানা প্রান্ত থেকে, গঙ্গাসাগর মেলা প্রাঙ্গনে আসতে শুরু করেছেন পুণ্যার্থীরা। সিসিটিভিতে মুড়ে ফেলা হয়েছে গোটা এলাকা। কন্ট্রোল রুম তৈরি করে চলছে নজরদারি। জায়গায় জায়গায় বসানো হয়েছে পুলিশ কিয়স্ক। ড্রোনের মাধ্যমে চলছে নজরদারি। মকর সংক্রান্তিতে পুণ্যস্নান ঘিরেও বন্দোবস্ত করা হয়েছে বাড়তি নিরাপত্তার। তৈরি রাখা হয়েছে সিভিল ডিফেন্সের কর্মীদের। একইসঙ্গে কাজ করছে NDRF ও উপকূলরক্ষী বাহিনী। হোভারক্র্যাফট ও বোডের মাধ্যমেও নজরদারি চালাচ্ছে প্রশাসন। লট এইট থেকে কচুবেরিয়ায় পর্যাপ্ত ভেসেল চলাচলের বন্দোবস্ত।


আগামী ১৭ জানুয়ারি পর্যন্ত চলবে গঙ্গাসাগর মেলা। এর মধ্য়ে, ১৫ ও ১৬ জানুয়ারি রয়েছে মকরস্নান। মেলায় সমাগম হতে পারে ৪০ লক্ষ পুণ্যার্থীর। এই জনসমাগমের কথা মাথায় রেখে একগুচ্ছ বন্দোবস্ত করা হচ্ছে রাজ্য সরকারের তরফে। চলতি সপ্তাহেই মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, 'মেলায় যাঁরা আসছেন তাঁদের জন্য ইন্স্যুরেন্সের সুবিধা থাকছে। ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ইন্স্যুরেন্স দেওয়া হবে। পুলিশ, ভলেন্টিয়ার, তীর্থযাত্রী সহ সাংবাদিকরা এই সুবিধা পাবেন। গঙ্গাসাগর মেলায় কোনও সমস্যা হলে রয়েছে টোল ফ্রি নম্বরও। এবারের মেলায় মোট ২১টি জেটি ব্যবহার করা হবে। আড়াই হাজার বাসের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ছ’টি বার্জ, ৩২টি ভেসেল, একশোটি লঞ্চ, অতিরিক্ত ট্রেনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এর পাশাপাশি জিপিএস ট্র্যাকিং, স্যাটেলাইট ট্র্যাকিং করা হবে। দুর্ঘটনা মোকাবিলায় ২৪০০ সিভিল ডিফেন্স ও অন্যান্য ভলেন্টিয়ারও নিয়োগ করা হয়েছে। শুধু মেলার জন্যই ৩০০ বেডের চিকিৎসা পরিকাঠামো গড়ে তোলা হয়েছে। পর্যাপ্ত বিশেষজ্ঞ ডাক্তার, নার্স, প্যারা মেডিক্যাল থাকবেন। ক্রিটিক্যাল কেয়ারের রোগীদের জন্য থাকছে গ্রিন করিডরের বন্দোবস্ত।'    


এদিকে শুক্রবার কচুবেড়িয়া আসার পথে মুড়িগঙ্গার চরে আটকে পরে ২টি ভেসেল। একটি ফাঁকা থাকলেও আরেকটিতে ৪০০ জনের বেশি পুণ্যার্থী ছিলেন। দুপুর ৩টে থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত আটকে থাকার ৫ ঘণ্টা পর সেগুলিকে সরানো সম্ভব হয়। দীর্ঘক্ষণ আটকে থাকায় অসুস্থ হয়ে পড়েন বেশ কয়েকজন।


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।  


আরও পড়ুন: Sujit Bose: 'রোল বিক্রি করতাম, পকেট কাটতাম না, চুরি করতাম না,' কাকে নিশানা সুজিতের?