কলকাতা: পুর নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় দমকলমন্ত্রীর বাড়িতে অভিযান চালিয়েছে ইডি (ED Raid)। এদিন লেকটাউনে মন্ত্রীর দুটি বাড়ি ও অফিসে তল্লাশি চালান ইডির আধিকারিকরা। CRPF জওয়ানদের দিয়ে গোটা এলাকা ঘিরে চলে অভিযান। প্রায় ১৪ ঘণ্টা তল্লাশির পর বেরোলেন পর ইডি আধিকারিকরা। আর এরপরই সুজিত বসু বলেন, " বলছে রোল বিক্রি করতাম। হ্যাঁ করতাম। কারও পকেট কাটতাম না। চুরি করতাম না।''


দমকলমন্ত্রীর বাড়িতে ইডির অভিযান: রাজ্যের আরও এক হেভিওয়েট মন্ত্রীর বাড়িতে অভিযান চালাল ইডি। প্রায় ১৪ ঘণ্টা ধরে একাধিক বাড়িতে চলল তল্লাশি এবং পরিবারের সদস্য়দের জিজ্ঞাসাবাদ। রাত সাড়ে আটটা নাগাদ সুজিত বসুর বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান ইডি অফিসাররা। এরপর সাংবাদিকদেক মুখোমুখি হয়ে দমকলমন্ত্রী বলেন, “যে ঘটনার সঙ্গে আমার কোনও যোগাযোগ নেই, সেই ঘটনায় নাকি কোর্ট মারফত তদন্ত হচ্ছে। পুরসভায় নিয়োগ নিয়ে এনকোয়ারি করছে। আমি প্রেসের সামনে দাঁড়িয়ে বলছি, কাজের ক্ষেত্রে কেউ সুজিত বসুকে এক পয়সা দিলে সুজিত আজ রেসিগনেশন পাঠিয়ে দেবে।’’



শুক্রবার সাতসকালে লেকটাউনের শ্রীভূমিতে সুজিত বসুর পুরনো ও নতুন বাড়িতে একযোগে পৌঁছে যায় ইডি। কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে কার্যত মন্ত্রীর বাড়ি ঘিরে, শুরু হয় তল্লাশি অভিযান। একইসঙ্গে এদিন বিজেপিকেও নিশানা করেন দমকলমন্ত্রী। সুজিত বসু বলেন, "বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী গলা ফাটিয়ে চিৎকার করছেন। ওঁ নাকি বলেছে শীতের পোশাক গুছিয়ে রাখতে জেলে যেতে হবে। শুভেন্দুকে বলে দিতে চাই শীতের পোশাক নেব। কাল গঙ্গাসাগর যাচ্ছি চার দিনের জন্য। ওই বিরোধী দলনেতা সবাইকে চোর বলছে, নিজের মুখটা আয়নায় দেখুক। তোয়ালে মুড়ে টাকা নিয়েছে। কত দিন বিজেপি গার্ড করবে? ওঁকে রাজনীতির লোকই মনে করি না। রোল বিক্রি করতাম। পকেট কাটতাম না। প্রধানমন্ত্রী তো চা বিক্রি করতেন। এরা তাহলে প্রধানমন্ত্রীকে অপমান করছেন।’’


কেন্দ্রীয় এজেন্সি সূত্রে দাবি, শিক্ষা নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তে ধৃত অয়ন শীলের অফিসে তল্লাশিতে কম্পিউটারে একটি ফোল্ডার পেয়েছিলেন তাঁরা। তাতে কাদের কাছে কত টাকা গেছে, সেই সংক্রান্ত কোডনেমের তালিকা ছিল। ইডি সূত্রে দাবি, অয়ন শীলকে জেরায় সেই কোডনেম ক্র্যাক করতে গিয়েই উঠে এসেছে সুজিত বসুর নাম। পুর নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে গত ৫ অক্টোবর দক্ষিণ দমদম পুরসভার উপ পুরপ্রধান ও তৃণমূল নেতা নিতাই দত্তর বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছিল ইডি। কেন্দ্রীয় এজেন্সি সূত্রে দাবি, সেখান থেকে নিয়োগ সংক্রান্ত ৭ পাতার নথি এবং পুরসভায় নিয়োগ সংক্রান্ত অ্য়াপয়েন্টমেন্ট লেটার উদ্ধার হয়। পরে নিতাই দত্তকে সিজিও-তে ডেকে একাধিকবার জিজ্ঞাসাবাদ করেন ইডি-র আধিকারিকরা। ইডি সূত্রে দাবি, সুজিত বসু দক্ষিণ দমদম পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান থাকাকালীন পুরসভায় নিয়োগে দুর্নীতি হয়েছে। বিভিন্ন পুরসভায় তখন নিয়োগের বরাত পেত অয়ন শীলের সংস্থা এবিএস ইনফোজোন। ইডি সূত্রে দাবি, সুজিত বসু দক্ষিণ দমদম পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান থাকাকালীন নিতাই দত্তই বকলমে তাঁর সেক্রেটারি ছিলেন। সেই নিতাই দত্তর সূত্র ধরেও সুজিত বসুর নাম উঠে এসেছে বলে দাবি ইডি সূত্রে। 


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।  


আরও পড়ুন: Law Career: আইন নিয়ে কেরিয়ার গড়ার স্বপ্ন? কোন পথে সাফল্য? রইল খুঁটিনাটি