কলকাতা: প্রায় ৬ মাস বন্ধ থাকার পর, রাজ্যে আজ থেকে চালু হল লোকাল ট্রেন। একেক জায়গায় ধরা পড়ল একেক রকমের ছবি।
৫০ শতাংশ যাত্রী নিয়ে লোকাল ট্রেন পরিষেবা চালু হওয়ার প্রথম দিনই সোনারপুর স্টেশনে বাদুড়ঝোলা ভিড়। রবিবার হওয়া সত্ত্বেও আসন ফাঁকা নেই। কেউ কেউ দূরত্ববিধি না মেনেই বসে পড়েছেন ক্রস চিহ্ন দেওয়া আসনে। তাঁদের সাফাই, নির্দেশ যথাযথভাবে মানতে হলে সময়ে গন্তব্য পৌঁছতে সমস্যা হবে।
লোকাল ট্রেন চালু হতেই বারাসাতে ফিরল পুরনো ছবি। রবিবার ছুটির দিনেও ডাউন বনগাঁ লোকাল ঢুকতেই দেখা গেল বাদুড়ঝোলা ভিড়। একই ছবি ডাউন হাসনাবাদ লোকালেও। কামরার ভিতরে থিকথিকে ভিড়।
হাওড়া স্টেশনেও ধরা পড়ে ভিড়ের ছবি। লোকাল ট্রেনে ওঠার জন্য ছুটোছুটি শুরু হয় যাত্রীদের মধ্যে। চলন্ত ব্যান্ডেল লোকালে উঠতে গিয়ে পড়েও গেলেন এক প্রৌঢ়। যাত্রীদের চিৎকারে ট্রেন থামায় শেষপর্যন্ত ট্রেনে উঠে শান্তি।
আরও পড়ুন: প্রায় ৬ মাস বন্ধ থাকার পর আজ থেকে ফের গড়াল লোকাল ট্রেনের চাকা
প্রথম দিন পশ্চিম বর্ধমানের পানাগড় স্টেশনে তৃণমূলের মিষ্টিমুখ। রেল কর্মী ও যাত্রীদের মধ্যে মিষ্টি বিলি করলেন যুব তৃণমূল কর্মীরা।
পেট্রোল-ডিজেলের দাম বাড়ায় পরিবহণ খরচ বেড়েছে। ফলে সাধারণ মানুষের পকেটে টান পড়ছে। এই পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগে ট্রেন চালুর সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাতেই মিষ্টি বিলি, দাবি যুব তৃণমূল নেতৃত্বের। ট্রেন চালু হওয়ায় যাতায়াত খরচ কমবে বলে খুশি যাত্রীরাও।
রবিবার হওয়ায় কাটোয়া স্টেশনে ভিড় কম। তারই মধ্যে দূরত্ববিধি মেনে, মাস্ক, স্যানিটাইজার ব্যবহার করে যাতায়াত করছেন যাত্রীরা। তাঁদের অভিযোগ, নিজেরা সচেতন থাকলেও, রেলের তরফে কোনও প্রচার অথবা সতর্কতা চোখে পড়েনি।
খড়গপুর স্টেশনে স্বস্তির ছবি। দীর্ঘ অপেক্ষার পর লোকাল ট্রেন চালু হওয়ায় কাছেপিঠে ঘুরতে বেরিয়েছেন অনেকেই। সংক্রমণ রুখতে অনেকেই সতর্ক করোনাবিধি রক্ষায়।
ফের কম ভাড়ায় যাতায়াত শুরু করতে পারায় খুশি হয়েছেন নিত্যযাত্রীরা। ফের ট্রেন চালু হওয়ায় রোজগারের আশায় হকাররা। কেউ কেউ ট্রেনে ওঠার আগে সারলেন প্রণাম।
আরও পড়ুন: লোকাল ট্রেন পরিষেবা শুরুর আগে হাওড়া ও শিয়াদহে শেষমুহূর্তের প্রস্তুতি, চলছে স্যানিটাইজেশন
করোনা আবহে প্রায় ৬ মাস বন্ধ থাকার পর রাজ্যে আজ থেকে চাকা গড়াল লোকাল ট্রেনের। আপাতত ৫০ শতাংশ যাত্রী নিয়ে চালানোর ছাড়পত্র দিয়েছে রাজ্য।
লোকাল ট্রেন পরিষেবা স্বাভাবিক করে তোলার পাশাপাশি, জোর দেওয়া হচ্ছে স্যানিটাইজেশনে। যাত্রীদের মধ্যে দূরত্ববিধি বজায় রাখতে দু’টি আসনের মধ্যে ক্রস চিহ্নের স্টিকার লাগানো হয়েছে। এছাড়া, যাত্রীদের মধ্যে সতর্কতামূলক প্রচার চালাচ্ছে রেল কর্তৃপক্ষ।