জয়দীপ হালদার, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: গোয়ালে ঢুকে গাভীকে ধর্ষণ অভিযোগ যুবকের বিরুদ্ধে। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের পর গরুটির (Cow Dies) মৃত্যু হয়েছে বলেও অভিযোগ। এই ঘটনাকে ঘিরে চাঞ্চল্য় নামখানায়। বাড়িমালিকের কাছ থেকে অভিযোগ পেয়ে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করল পুলিশ (Arrest)। তাঁকে বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠিয়েছে আদালত (Judicial Custody)। 


নামখানায় গবাদি পশুর উপর নৃশংস অত্যাচার চালানোর অভিযোগ


দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার (South 24 Parganas News) নামখানা (Namkhana News) ব্লকের উত্তর চন্দনপিড়ি এলাকার ঘটনা। অভিযুক্ত যুবকের নাম প্রদ্যুৎ ভুঁইয়া। বয়স ২৯ বছর। রাতের অন্ধকারে প্রতিবেশির গোয়ালে ঢুকে তিনি গাভীটিকে নৃশংস ভাবে ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ। এর পরই গাভীটির মৃত্যু হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। 


যাঁদের গোয়ালে বাঁধা গাভীকে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ, সেই আরতি ভুঁইয়া এ নিয়ে নামখানায় থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। ওই পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে, মাস চারেক আগেই গাভীটি একটি বাছুর প্রসব করে। তার পরই এই নৃশংস অত্যাচাররে শিকার হয়। রক্তক্ষরণ বন্ধ না হওয়ায় মারা যায় গাভীটি।


আরও পড়ুন: অবিলম্বে নিয়োগের দাবিতে ফের চাকরিপ্রার্থীদের বিক্ষোভ, পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে ধুন্ধুমার


আরতিদেবীর কাছ থেকে অভিযোগ পেয়েই ওই যুবককে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৭ ধারায় মামলা দায়ের হয়েছে। মঙ্গলবার ধৃতকে কাকদ্বীপ মহকুমা আদালতে তোলা হয়। বিচারক তাঁকে ১৪ দিনের বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠিয়েছেন। 


অভিযোগ পেয়ে অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতার করে পুলিশ


তবে বাড়ির গোয়ালে রাখা গাভীর উপর এমন নৃশংস অত্যাচারের ঘটনায় স্তম্ভিত এলাকাবাসী। বিষয়টি চাউর হতে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে গোটা এলাকায়। কী ভাবে নিরীহ পশুটির উপর এমন অমানবিক অত্যাচার চালালেন অভিযুক্ত, তা বুঝে উঠতে পারছেন না তাঁরা। অভিযুক্তের কড়া শাস্তির দাবিতে সরব হয়েছেন সকলে। বিষয়টি সামনে আসার পর নিন্দার ঝড় উঠেছে সর্বত্র। অভিযুক্তের মানসিক বিকৃতির প্রশ্নও উঠে আসছে।


অন্য দিকে, উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশখালী থানার খুলনা গ্রামে সাপের কামড়ের রোগীকে আগে হাসপাতালে নিয়ে না গিয়ে, ওঝা দিয়ে ঝাড়ফুঁক করাতে ফেলে রাখা হয় বলে অভিযোগ। দীর্ঘ ক্ষণ নষ্ট হওয়ার পলে বিনা চিকিৎসায় রোগীর মৃত্যু হয়। প্রায় আড়াই ঘণ্টা ঝাড়ফুঁকের পর খুলনা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় ওই ব্যক্তিকে। সেখানে পরিস্থিতির অবনতি হলে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। কিন্তু বাঁচানো যায়নি।