রঞ্জিত হালদার, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: প্রাণহানির আশঙ্কা করে ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষী চেয়ে থানায় আবেদন জানালেন আরাবুলপুত্র হাকিমুল ইসলাম (Hakimul Islam)। পোলেরহাট দু'নম্বর গ্রামপঞ্চায়েতের উপপ্রধানের অভিযোগ, বিরোধী রাজনৈতিক দল এবং বিরোধী গোষ্ঠীর একাংশ তাঁকে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে। অভিযোগ উড়িয়ে তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দলকে দায়ী করেছে বিরোধী শিবির।


নিরাপত্তারক্ষী চেয়ে আবেদন


বাবা দাপুটে তৃণমূল নেতা। নিজে ভাঙড়ে তৃণমূলের ব্লক সহ-সভাপতি। সেই আরাবুল ইসলামের (Arabul Islam) ছেলেই প্রাণনাশের আশঙ্কা করছেন! বিষয়টি সামনে আসার পর থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে এমন প্রশ্ন। কিন্তু হাকিমুলের দাবি, যে কোনও মুহূর্তে খুন হয়ে যেতে পারেন তিনি। আর সেই আশঙ্কা থেকেই ব্যক্তিগত পুলিশি নিরাপত্তা চেয়ে ভাঙড়ের কাশীপুর থানায় আবেদন জানিয়েছেন আরাবুলপুত্র হাকিমুল। 

ভাঙড় ২ নম্বর ব্লকের পোলেরহাট ২ নম্বর গ্রামপঞ্চায়েতের উপপ্রধান হাকিমুল। গত ২৮ মার্চ থানায় যে আবেদনপত্র জমা দিয়েছেন তিনি, তাতে লেখা হয়েছে, বিরোধী রাজনৈতিক দল ও তাঁর বিরোধী গোষ্ঠীর লোকজনের থেকে লাগাতার খুনের হুমকি পাচ্ছেন তিনি।  যে কোনও মুহূর্তে খুন হয়ে যেতে পারেন। তাঁর ওপর একাধিকবার সশস্ত্র হামলা হয়েছে বলেও অভিযোগ করা হয়েছে আবেদনপত্রে। পর্যাপ্ত পুলিশি নিরাপত্তার আবেদন জানিয়েছেন 


সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে আরাবুল বলেন, "থ্রেট তো সব সময় আসছে আমার উপর। জমি কমিটির লোকজন তো প্রকাশ্যেই থ্রেট করে। প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছে। আরও অনেকে আছে।ক্রিমিনালরা থ্রেট করছে।" তাহলে কি দলের একাংশের থেকেও কী থ্রেট পাচ্ছেন তিনি? হাকিমুলের জবাব, "পুলিশকে যা বলার সব বলেছি। মিডিয়াকে তো সব বলতে পারব না।"


আরও পড়ুন: Nadia Rape: হাঁসখালিকাণ্ডে তদন্ত শুরু, ঘটনাস্থলে যাচ্ছে কেন্দ্রীয় ফরেন্সিক দলও।Bangla News


আরাবুল পুত্রের প্রাণহানির হুমকির অভিযোগ নিয়ে কিছু না বললেও, দুর্নীতি ইস্যুতে তাঁকে কাঠগড়ায় তুলেছে জমি জীবিকা বাস্তুতন্ত্র ও পরিবেশ রক্ষা কমিটি। জমি জীবিকা বাস্তুতন্ত্র ও পরিবেশ রক্ষা কমিটির যুগ্ম সম্পাদক মির্জা হাসান বলেন, "আরাবুলপুত্র সামান্য উপপ্রধান হয়ে ৪০ লক্ষ টাকার গাড়ি ব্যবহার করেন। কী করে তাঁর এত ঠাটবাট? বিভিন্ন দুর্নীতির সঙ্গে হাকিমুল ইসলাম যুক্ত।"


তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বকে দায়ী করছেন বিরোধীরা


বিরোধী শিবির নয়, তৃণমূলের গোষ্ঠাদ্বন্দ্বের জেরেই হাকিমুল নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে দাবি করেন আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকিও। তাঁর কথায়, "আইএসএফ হুমকির রাজনীতি করে না। অভিযোগ চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে। ভাদু শেখের পরিণতি দেখে হয়তো উনি চিন্তিত হতে পারেন। ভাঙড়েও তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব আছে।"


বিজেপি-র রাজ্য কমিটির সদস্য সুনীপ দাস বলেন, "পুরোটাই মিথ্যা অভিযোগ। নিরাপত্তা দু'টো কারণে রাখছেন তৃণমূল নেতারা। এক হচ্ছে, সোশাল স্ট্যাটা, আরেকটি হচ্ছে, দলেই খুন হওয়ার ভয়।"