রঞ্জিত হালদার, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: ফের পঞ্চায়েত ভোটের আগে গোষ্ঠী কোন্দল প্রকাশ্যে। তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতির বিরুদ্ধে উঠেছে গুরুতর অভিযোগ।তোলাবাজির টাকা চেয়ে না পাওয়ায় ব্যবসায়ীদের হুমকি (Treats) ও মারধর করার ঘটনা ঘটেছে বারুইপুর থানা (Baruipur Police Station) এলাকার সুর্যপুর হাটে। আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে এসে তাঁদেরকে ভয় দেখানো হয় বলে অভিযোগ। ঘটনায় অভিযুক্ত এলাকার বেশ কয়েকজন দুষ্কৃতী। এরই প্রতিবাদে বারুইপুর কুলপি রোড অবরোধ করেন ব্যবসায়ীরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বারুইপুর থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। 


তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতির বিরুদ্ধে তোলাবাজিতে মদত দেওয়ার অভিযোগ করেছেন দলেরই স্থানীয় নেতা। পাল্টা তাঁর বিরুদ্ধেই দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছেন অঞ্চল সভাপতি। জানা গিয়েছে, এক দুষ্কৃতীকে পুলিশ ধরলে ব্যবসায়ীরা (Businessman) তাকে মারার চেষ্টা করে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে মৃদু লাঠিচার্জ (Lathicharge)পুলিশের। এলাকার কাপড় ব্যবসায়ী (Businessman) আবদুল্লা পুরকাইত বলেন, 'তাকে মারধর করা হয়েছে। তাদের ব্যবসায়ী সংগঠনের আজ একটি সভা ছিল। সেই সভা পুলিশের অনুরোধে বাতিল করা হয়েছে।' এই ঘটনার পিছনে ধপধপি ১ ও ধপধপি ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান ও অঞ্চল সভাপতির যোগ আছে বলে অভিযোগ। ব্যবসায়ী রবিউল লস্কর বলেন, 'তাদের আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে ভয় দেখানো হয়েছে।' আরেক ব্যবসায়ী শাজাহান পুরকাইত জানান, 'জোর করে তাদের কাছ থেকে তোলা আদায় করা হয়।' এলাকায় উত্তেজনা থাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। 


বছরটা ২০২২। গতবছরও তোলাবাজির ঘটনা ঘিরে একটি মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে  উত্তর ২৪ পরগনায়। এলাকা দখল ও তোলাবাজির অভিযোগকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ায় গতবছর উত্তর ২৪ পরগনার কামারহাটিতে। দলের এক নেতার অনুগামীদের বিরুদ্ধেই তোলাবাজি ও হামলার অভিযোগ তুলেছিলেন তৃণমূল কাউন্সিলর। সংঘর্ষে জখম হন দলের কয়েকজন কর্মীও। কামারহাটি পুরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর অভিযোগ, গুড্ডু নামে আরেক তৃণমূল কর্মীর অনুগামীরা এলাকায় তোলাবাজি করে। যাকে কেন্দ্র করে ক্রিক স্ট্রিটে সংঘর্ষে জড়ায় দুই গোষ্ঠী। 


আরও পড়ুন, 'বিজেপি না ছাড়লে শুভেন্দুর মতই এজেন্সি থেকে দূরে থাকতেন বনি', বিস্ফোরক দেবাংশু 


কামারহাটির ঘটনা নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে রাজ্য সরকারের তীব্র সমালোচনা করে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) বলেছিলেন, 'তৃণমূলে গোষ্ঠী কোন্দল কোনও নতুন কথা নয়। যত সমাজবিরোধী আছে, তারাই তৃণমূল দলটাকে চালাচ্ছে। বিভিন্ন প্রকল্পের টাকা, সাধারণ মানুষের টাকা লুঠ করে ভাগ-বাটোয়ারা করে খাচ্ছে। ভাগ নিয়ে বনিবনা না হলেও গুলি-বোমা চলছে। এ সবের সাধারণ মানুষের প্রাণ ওষ্ঠাগত হয়ে আছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এখন দল বাঁচাতে ব্যস্ত, সরকারে মন নেই। তাই সবকিছুই ঢিলেঢালা। প্রশাসন ভেঙে পড়েছে।'