কলকাতা: মুম্বইয়ে কাজে গিয়ে 'নিখোঁজ' দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিষ্ণপুরের যুবক। 'বাংলায় বলায় বাংলাদেশি সন্দেহে আটক করেছে মুম্বই পুলিশ'। ডায়মন্ড হারবার পুলিশের দ্বারস্থ পরিযায়ী শ্রমিকের পরিবার। আজ মুম্বই যাচ্ছে ডায়মন্ড হারবার পুলিশ জেলার একটি দল। ওই পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস বিধায়কের।

আরও পড়ুন, তালিকায় অস্তিত্বহীন ভোটার ! কমিশনের তলবের মুখে নন্দকুমার ও রাজারহাট-গোপালপুরের ২ ERO

বাংলায় কথা বলায় বাংলাদেশি সন্দেহে মুম্বইয়ে আটক ১০৬ জন। এর মধ্যে রয়েছেন পরিযায়ী শ্রমিক বাবাই সর্দার। যুবকের সঙ্গে সপ্তাহখানেক ধরে যোগাযোগ নেই, অভিযোগ পরিবারের। ডায়মন্ড হারবারের তৃণমূল সাংসদের নির্দেশে মুম্বই গেছে ৪ সদস্যের প্রতিনিধিদল। ডায়মন্ড হারবার পুলিশ জেলার একটি দলও আজ মুম্বই যাচ্ছে। বাবাই সর্দার বছর দুয়েক আগে কাজের সন্ধানে মুম্বই যান, দাবি পরিবারের। 'নিখোঁজ' পরিযায়ী শ্রমিকের বাড়িতে গিয়ে পাশে থাকার আশ্বাস বিধায়কের।

সম্প্রতি মালদার ৭ পরিযায়ী শ্রমিককে আটকে রাখার অভিযোগ উঠল হরিয়ানার গুরুগ্রাম পুলিশের বিরুদ্ধে। ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প প্রতিমন্ত্রী তাজমুল হোসেনের বিধানসভা কেন্দ্র হরিশ্চন্দ্রপুর থেকে সামনে এসেছে এই অভিযোগ। পরিযায়ী শ্রমিকদের ঘরে ফেরানোর আশ্বাস দিয়েছেন রাজ্য়ের প্রতিমন্ত্রী ও তৃণমূল বিধায়ক তাজমুল হোসেন। তবে এনিয়ে রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে তীব্র তরজা। 

পরিযায়ী শ্রমিকের মা  আরমানি বেওয়া বলেন, 'বাংলাদেশি যারা তাদের ধরুক, ভারতের লোককে কেন ধরছে? ভারতের লোকের ওপর কেন এত অত্যাচার?' কোচবিহার, উত্তর ২৪ পরগনা, নদিয়ার পর,এবার মালদার ৭ পরিযায়ী শ্রমিককে আটকে রাখার অভিযোগ উঠল হরিয়ানার গুরুগ্রাম পুলিশের বিরুদ্ধে। প্রতিমন্ত্রী তাজমুল হোসেনের বিধানসভা কেন্দ্র হরিশ্চন্দ্রপুর থেকে উঠেছে এই ভয়ঙ্কর অভিযোগ।আটক পরিযায়ী শ্রমিকদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন তাঁদের পরিজনরা।পরিযায়ী শ্রমিকের মা সবিতা দাস বলেন, খাটতে গেছিল আমার ছেলে। বাংলাদেশি বলে ধরে নিয়ে গেছে।  বলল কী, ওখান থেকে ধরে নিয়ে গেল পুলিশ। নথি দিচ্ছি, কিছুই মানছে না ওঁরা।  মারধরও করেছে।' 

পরিযায়ী শ্রমিকের মা আরমানি বেওয়া বলেন, ছেলে-পুলেকে খেতে দেয়নি, কিছু দেয়নি। অশান্তিতে রেখেছে।  আমাদের ছেলেপুলে খাটবে না তো খাব কী?  হিমঘরের মতো ধরে ধরে একটা কুঠির মতো ঘরে গাদাগাদি করে, ছাগল-গরুকে যেমন ভরে দেয় ওরকম করে ভরে দিল।  এদের বাংলাদেশি বলছে। বাঙালি তো আর হিন্দি কথা বলতে পারবে না। বাংলাদেশি যারা তাদের ধরুক, ভারতের লোককে কেন ধরছে? ভারতের লোকের ওপর কেন এত অত্যাচার? দ্রুত পদক্ষেপের আশ্বাস দিয়েছেন হরিশ্চন্দ্রপুরের তৃণমূল বিধায়ক তাজমুল হোসেন।