জয়দীপ হালদার, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: ফের সাগরে নৌকাডুবি। এই নিয়ে চলতি মাসে তিন-তিনবার সাগরে ডুবে গেল পণ্যবাহী নৌকা (Boat)। স্থানীয় সূত্রে খবর, মেদিনীপুর (Midnapore) থেকে বালিবোঝাই নৌকাটি সাগরে যাচ্ছিল।
গঙ্গাসাগরে নৌকাডুবি: গতকাল সন্ধে নাগাদ সাগর দ্বীপের বেণুবনের কাছে মুড়িগঙ্গা নদীতে উত্তাল ঢেউয়ের কারণে নৌকা ফুটো হয়ে জল ঢুকতে শুরু করে। মাঝি-সহ চার যাত্রী সাহায্যের জন্য চিত্কার শুরু করেন। স্থানীয় মত্স্যজীবীরা গঙ্গাসাগর কোস্টাল থানায় খবর দেন। পরে পুলিশ গিয়ে মাঝি-সহ চারজনকে উদ্ধার করে। এর আগে ১৬ এপ্রিল নৌকাডুবির ঘটনা ঘটেছে বকখালিতে ফ্রেজারগঞ্জ মত্স্য বন্দরের কাছে। মেদিনীপুর থেকে ফ্রেজারগঞ্জ যাচ্ছিল বালি বোঝাই নৌকা। ফ্রেজারগঞ্জ মৎস্য বন্দরের মোহনার কাছে নৌকার ইঞ্জিন বিকল হয়ে জল ঢুকতে শুরু করে। খবর পেয়ে সমুদ্র থেকে তিন মাঝিকে উদ্ধার করে ফ্রেজারগঞ্জ কোস্টাল থানার পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গতকালস, মঙ্গলবার বিকেলে মেদিনীপুর থেকে একটি বালিবোঝাই নৌকা সাগরে আসছিল। সেই সময় হঠাৎ মুড়িগঙ্গা নদীতে উত্তাল ঢেউয়ের কারণে নৌকার নিচে ফুটো হয়ে যায়। আর তারপরই জল ঢুকতে শুরু করে। পরিস্থিতি বেগতিকে বুঝেই মাঝি সহ বাকিরা চিৎকার শুরু করে দেয়। চিৎকার শুনে স্থানীয় মৎস্যজীবীরা খবর দেয় গঙ্গাসাগর উপকূল থানাতে। এরপর গঙ্গাসাগর উপকূল থানার পুলিশ নিরাপদে উদ্ধার করে মাঝিসহ চারজনকে। কিন্তু নৌকাটি উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
এদিকে বীরভূমের ইলামবাজারে পণ্যবোঝাই ডাম্পারের সঙ্গে গাড়ির সংঘর্ষে মৃত্যু হল অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষীর শিশুকন্যা-সহ ২ জনের। গাড়ি চালকের অবস্থাও আশঙ্কাজনক। ডাম্পার চালক পলাতক। গরুপাচার মামলায় অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সাইগল হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকেছিল সিবিআই। দুর্গাপুর থেকে ইদের কেনাকাটা সেরে গতকাল দুটি গাড়িতে করে বোলপুরে ফিরছিলেন তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সাইগল হোসেন, তাঁর স্ত্রী, শিশুকন্যা-সহ কয়েকজন। একটি গাড়িতে দেহরক্ষীর স্ত্রী ও শিশুকন্যার সঙ্গে ছিলেন পারিবারিক বন্ধু মাধব কৈবর্ত। রাত ১২টা নাগাদ ইলামবাজারের চৌপাহাড়ি মোড়ে দুর্ঘটনার কবলে ওই গাড়িটি।ডাম্পারের ধাক্কায় ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তৃণমূল নেতার দেহরক্ষীর শিশুকন্যা ও বন্ধুর।
আরও পড়ুন: Jhargram News: একদিকে গরম, অন্যদিকে আগুন, জঙ্গল ছেড়ে লোকালয়ে দাঁতাল হাতি দল