জয়দীপ হালদার, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: অবৈধ ভাবে ভারতীয় জলসীমা লঙ্ঘনের (Indian Territorial Water) অভিযোগ। গ্রেফতার ৮৮ জন বাংলাদেশি নাগরিক (Bangladeshi Citizens)। তাঁরা প্রত্যেকেই পেশায় মৎস্যজীবী (Bangladeshi Fishermen)। ভারত-বাংলাদেশ জলসীমায় (India-Bangladesh Water) টহল দেওয়ার সময় বিষয়টি নজরে আসে ভারতীয় উপকূল রক্ষী বাহিনীর। বৃহস্পতিবার আদালতে তোলা হবে ধৃতদের। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।
মঙ্গলবার দুপুরে ভারত-বাংলাদেশ জলসীমায় টহল দিচ্ছিল ভারতীয় উপকূলবাহিনী। সেই সময় জলসীমা লঙ্ঘনের বিষয়টি নজরে আসে তাদের। তাতে জলসীমা লঙ্ঘনকারী ৮৮ জন বাংলাদেশি মৎস্যজীবীকে গ্রেফতার করা হয়। আটক করা হয় তাঁদের তিনটি ট্রলারকেও।
বুধবার দুপুরে ওই তিনটি ট্রলারকে ফ্রেজারগ (South 24 Parganas News) মৎস্য বন্দরে আনা হয়। এই মুহূর্তে নামখানার ফ্রেজারগঞ্জ মৎস্য বন্দরেই রয়েছে ট্রলারগুলি। গ্রেফতার হওয়া মৎস্যজীবীদের অধিকাংশেরই বাড়ি বাংলাদেশের চট্টগ্রামে বলে জানা গিয়েছে। বুধবার রাতে ওই ৮৮ জনকে উপকূল রক্ষীবাহিনীর তরফে ফ্রেজারগঞ্জ কোস্টাল থানার হাতে তুলে দেওয়া হয়। বৃহস্পতিবার কাকদ্বীপ আদালতে তোলা হবে সকলকে। এ নিয়ে বাংলাদেশের তরফে এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। মৎস্যজীবীদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: Suvendu Adhikari Election Campaign : মন্দিরে পুজো দিয়ে কাঁথিতে পুরভোটের প্রচারে, নিজেই বললেন 'দুয়ারে শুভেন্দু'
এর আগে, গত বছর জলসীমা অতিক্রম করে তাদের এলাকায় প্রবেশের জন্য চার জন ভারতীয় মৎস্যজীবীকে গ্রেফতার করে বাংলাদেশের বন দফতর এবং পুলিশ। দক্ষিণ ২৪ পরগনার সুন্দরবনের ঝড়খালি এলাকার বাসিন্দা ছিলেন তাঁরা। দলবেঁধে ট্রলার নিয়ে মাছ ধরতে বেরিয়েছিলেন সকলে। ধৃতরা জানিয়েছিলেন, ট্রলার নিয়ে যে জলসীমা অতিক্রম করে এগিয়ে গিয়েছেন অনেকটা, তা বুঝে উঠতেই পারেননি তাঁরা।
বাংলাদেশের তরফে যুক্তি দেওয়া হয় যে, ম্যানগ্রেোভ বনাঞ্চলের বাস্তুতন্ত্রকে পুনরুজ্জীবিত করতে সুন্দরবনে মাছ ধরা-সহ সমস্ত কিছু বন্ধ রাখা হয়েছে। সেই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ধৃতরা অবৈধ ভাবে সেখানে প্রবেশ করেন।