রঞ্জিত হালদার, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: সোনারপুরে (Sonarpur) প্রেমিকের সঙ্গে বিয়েতে রাজি না হওয়ায় প্রেমিকার ছেলেকে অপহরণের (Kidnapping Case) অভিযোগ।ছেলেকে ফিরে পেতে সোনারপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ঐ যুবতী। অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্তে নেমে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে সোনারপুর থানার পুলিশ।
স্বামীর সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদ এক যুবতীর নিজের বছর দশেকের ছেলেকে নিয়েই সোনারপুর এলাকায় থাকতেন। মাস ছয়েক আগে শেওড়াফুলির এক যুবক তাপসদের সঙ্গে তাঁর মোবাইল ফোন মারফত পরিচয় হয়। সেই থেকে দুজনের মধ্যে প্রেম ভালোবাসার সম্পর্ক গড়ে ওঠে। কিন্তু লাগাতার ঐ যুবক মহিলাকে বিয়ের জন্য চাপাচাপি করতে থাকে। কিন্তু ঐ মহিলা কিছুতেই বিয়ে করতে রাজি না হওয়ায় নান ভাবে তাঁকে ব্ল্যাকমেল করতে শুরু করে। মঙ্গলবার দুপুরে আচমকাই যুবতীর ছেলেকে স্কুল থেকে অপহরণ করে তাঁকে বিয়ের জন্য চাপাচাপি করতে থাকে। এমনকি ছেলেকেও প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেয় অভিযুক্ত। ছেলেকে ফিরে পেতে সোনারপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ঐ যুবতী। সোনারপুর থানার পুলিশ অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্তে নেমে বুধবার গ্রেফতার করে অভিযুক্তকে। শেওড়াফুলি থেকে গ্রেফতার করা হয়। উদ্ধার হয় ঐ শিশু। অভিযুক্তের শাস্তি চাইছেন যুবতী।
অক্টোবারের শেষে, নাবালিকাকে অপহরণের অভিযোগ উঠেছিল শাসকদলেরই যুব সভাপতির বিরুদ্ধে। যা নিয়ে পূর্ব মেদিনীপুরের (Purba Medinipur) এগরা থানা (Egra) এলাকার ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায়ল। রাতের অন্ধকারে নবম শ্রেণির ছাত্রীকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যাওয়ার মতো গুরুতর অভিযোগ ওঠে যুব সভাপতির বিরুদ্ধে। খোদ শাসকদলের যুব সভাপতির বিরুদ্ধে নাবালিকা তথা নবম শ্রেণির ছাত্রীকে অপহরণের অভিযোগ ওঠে। অভিযোগ, রাতের অন্ধকারে বাড়ি গিয়ে নাবালিকার বাবাকে মারধর করে সেখান থেকে স্বদলবলে ছাত্রীকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। অভিযোগ, বিজয়া দশমীর দিন অভিযুক্ত নেতা তার বাহিনী সঙ্গে নিয়ে নাবালিকার বাড়িতে হাজির হয়।এখানেই শেষ নয়, আরও অভিযোগ নাবালিকাকে আগে থেকেই নাকি বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে রেখেছিল ওই ব্যক্তি।
আরও পড়ুন, ‘মেধা নয়, প্রভাব খাটিয়ে ২ তৃণমূল নেতার কন্যার মেডিক্যালে ভর্তি'-র অভিযোগ ! দিলীপের নিশানায় কে ?
সেই রাতেই জোরপূর্বক মেয়েকে বাড়ি থেকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে বাবা বাধা হয়ে দাঁড়ান। অভিযোগ এরপরই শুরু হয় প্রহার। নাবালিকার বাবাকে মারধর করা হয়, তারপর তাকে অপহরণ করে নিয়ে যাওয়া হয় বলে অভিযোগ। অভিযোগ, ১৬ বছর বয়সী নবম শ্রেণীর ছাত্রীর সঙ্গে প্রায় ৩০ বছর বয়সী ওই যুবকের বিয়ে করার বাসনায় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছেন নাবালিকার পরিবার। শুধু তাই নয় বাবা-মাকে হুমকিও দেওয়া হয়েছে। 'তিনি তৃণমূলের একজন প্রভাবশালী নেতা। তাঁর বিরুদ্ধে কিছুই করতে পারবে না। থানা পুলিশ আদালত কোনও কিছুই কাজ করবে না', পরিবারের দাবি, এমনই হুমকিও দেন অভিযুক্ত ওই শাসক-নেতা।