গৌতম মন্ডল, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: খারাপ রাস্তার ভয়াবহ উদাহরণ এর আগেও দেখেছে বাংলা। জুলাই মাসে যার জেরে ভোটের প্রচারে গিয়ে ভাতারে গ্রামবাসীদের বিক্ষোভের মুখে পড়েছিলেন বিধায়ক। সেবার ভোগান্তি বোঝাতে তৃণমূল বিধায়ককে কাদা ভর্তি রাস্তায় নামিয়েছিলেন গ্রামবাসীরা। আর এবার দক্ষিণ ২৪ পরগনায় বেহাল রাস্তা সারানোর দাবিতে স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশকে নিয়ে অভিনব প্রতিবাদ জানাল SUC। রাস্তায় শুয়ে, ধানের চারা পুঁতে চলল বিক্ষোভ (Agitation)।


ধানের চারা পুঁতে চলল বিক্ষোভ


 রাস্তা নয় যেনও মরণফাঁদ। পিচের আস্তরণ উঠে তৈরি হয়েছে বড় বড় গর্ত। সেখানে বৃষ্টির জল জমায় যখন-তখন ঘটছে দুর্ঘটনা। দক্ষিণ ২৪ পরগনার রায়দিঘি ও মন্দিরবাজার বিধানসভা এলাকার ঢোলাহাট থেকে বামুনের চক পর্যন্ত ১০ কিলোমিটার রাস্তা যাতায়াতের অযোগ্য হয়ে পড়েছে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। রাস্তার দায়িত্ব সুন্দরবন উন্নয়ন পর্ষদের। পুলিশের আশ্বাসে একঘণ্টা পর অবরোধ ওঠে। সুন্দরবন উন্নয়নমন্ত্রীর প্রতিক্রিয়া এখনও মেলেনি। 


 তৃণমূল বিধায়ককে কাদা ভর্তি রাস্তায় নামিয়েছিলেন গ্রামবাসীরা


প্রসঙ্গত, জুলাই মাসে নির্বাচনী প্রচারে বেড়িয়ে গ্রামবাসীদের ব্যপক ক্ষোভের মুখে পড়েছিলেন ভাতারের বিধায়ক মানগোবিন্দ অধিকারী।শুধু বিক্ষোভ নয় নিজেদের নিত্য ভোগান্তির অবস্থা তুলে ধরতে এক হাঁটু কাঁদা পেরিয়ে বিধায়ককে রাস্তা হাঁটতে বাধ্য করেছিলেন তাঁরা। তাঁদের সোজা যুক্তি,' ভোট দিই,ভোট নেন, রাস্তা কই?' মূলত সকালে ভাতারের নিত্যনন্দপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের কালুত্তকে পঞ্চায়েত সমিতির প্রার্থী আব্দুল রউফের সমর্থনে প্রচারে বের হয়েছিলেন ভাতারের বিধায়ক মানগোবিন্দ অধিকারী। প্রচার শুরু করতেই গ্রামবাসীরা প্রার্থী ও বিধায়ককে ঘিরে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন এবং তাঁদের ভোগান্তির কথা তুলে ধরেছিলেন।


ভোটের প্রচারে গিয়ে গ্রামবাসীদের বিক্ষোভের মুখে পড়েছিলেন বিধায়ক


আরও পড়ুন, 'রাতের ঘুমে ব্যাঘাত', অথর্ব বৃদ্ধাকে মারতে মারতে 'খুন' করল আয়া !


সেখানেই কার্যত গ্রামবাসীদের সাথে তর্কাতর্কিতে জড়িয়ে পরতে দেখা যায় প্রার্থীকে এর পরই নিজেদের প্রতিদিনের দুর্ভোগের চিত্র তুলে ধরতে বিধায়ককে কাঁদা রাস্তায় হাঁটতে বাধ্য করেন গ্রামবাসীরা। গ্রামবাসীদের অভিযোগ,দীর্ঘ ২০ বছর ধরে গ্রামের রাস্তার হাল খারাপ।বিভিন্ন স্তরে বলেও কোনও সুরাহা হয়নি। তাই বিধায়ক আসতেই রাস্তার দাবি জানানো হয়। সেই সঙ্গে নিজেদের ভোগান্তির কথা তুলে ধরতে তাকে জোর করে কাদা রাস্তাতেও হাটানো হয়েছে।


প্রচারে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে শাসক দলের আরও কে ?


প্রসঙ্গত, সম্প্রতি প্রচারে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়েছিলেন শতাব্দী রায়। অনুব্রত মণ্ডলহীন বীরভূমে  ভোট প্রচারে গিয়ে ক্ষোভের মুখে পড়েছিলেন তৃণমূল সাংসদ। পানীয় জল ও আবাস যোজনায় ঘর না পাওয়ার অভিযোগে গ্রামবাসীর ক্ষোভের মুখে পড়েছিলেন শতাব্দী। তিনি বলেছিলেন, 'বাড়ি-ত্রিপল পায়নি বলছে। আর নদীর ব্রিজ বলছে। ওটা আমাকে জানতে হবে কী টাকা। যে টাকা সেটা আমার কাছে আছে কি না জানতে হবে। আমি বলে যাব, হ্যাঁ করে দেব। আমি ওরকম কথা বলি না। সুতরাং, আমাকে একটা এস্টিমেট দিক। সেটা যদি আমার কাছে থাকে, আমি করে দেব। '