ব্রতদীপ ভট্টাচার্য, কলকাতা: শুভেন্দু অধিকারীর সভাকে (Suvendu Adhikari) কেন্দ্র করে ডায়মন্ড হারবারের হটুগঞ্জে বিজেপি নেতাকে (BJP Leader) বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের (TMC) বিরুদ্ধে। গুরুতর জখম বিজেপির মেরিগঞ্জ ২ নাইয়াপাড়ার ৫০ নম্বর বুথের সভাপতি রবিন সর্দার। বারুইপুর মহকুমা হাসপাতাল থেকে রাতে নিয়ে আসা হয় মেডিকা হাসপাতালে (Medica Hospital)। আজই অস্ত্রোপচারের সম্ভাবনা।


গতকাল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যয়ের (Abhishek Banerjee) নির্বাচনী কেন্দ্র ডায়মন্ড হারবারে শুভেন্দু অধিকারীর সভার আগে, হটুগঞ্জে বিজেপি কর্মীদের ওপর হামলা চালানোর অভিযোগ ওঠে তৃণমূল কর্মীদের বিরুদ্ধে। দু’পক্ষের মারামারিতে কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় এলাকা। গাড়ি-দোকানে ভাঙচুরের পাশাপাশি, তৃণমূলের পার্টি অফিসেও ভাঙচুর করা হয়। আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় বাইকে। সংঘর্ষের ঘটনায় কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়। প্রথমে হটুগঞ্জ বাজারের কাছে তৃণমূলের তরফে অবরোধ করা হয়েছিল। সঙ্গে চলে স্লোগান। তৃণমূলের তরফে বার বার বলা হয়, তারা কেন্দ্রের জনবিরোধী নীতির বিরোধী। যদিও বিজেপির অভিযোগ, শুভেন্দুর সভায় যাতে কোনও কর্মী-সমর্থক না আসতে পারে সেই কারণেই পরিকল্পনামাফিক এই ব্যবস্থা করা হয়েছে। রীতিমতো উত্তপ্ত পরিস্থিতি। ইট-পাটকেল ছোড়া হয়েছে। একাধিক দোকানে আগুন লাগানো হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশবাহিনী নামানো হলেও কিছু ক্ষণ আগে পর্যন্ত যা জানা গিয়েছিল তাতে ছবির মোটেও কোনও পরিবর্তন হয়নি। তৃণমূলের দাবি, স্থানীয়দের ঘরবাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। পাল্টা বিজেপির দাবি, তাদের গাড়িতে হামলা চালানো হয়েছে। গালিগালাজের অভিযোগও উঠেছে।


আরও পড়ুন, আজ ছুটির দিনে পেট্রোল-ডিজেলের কী দাম কলকাতায় ? সারা দেশে কী দাম জ্বালানির ?


ঘটনায় তৃণমূলকে কড়া ভাষায় হুঁশিয়ারি দিয়েছেন শুভেন্দু। বলেছেন, 'সভা হবেই। তারপর যা ব্যবস্থা নেওয়ার, নেব।’ এর পরই সংযোজন, ‘তৃণমূল যেন মনে রাখে, আরেকটি সভা পূর্ব মেদিনীপুরে হচ্ছে। আমিও চাইলে ২০ জায়গায় কাঠের গুড়ি ফেলে দিতে পারি।' উল্লেখ্য, কাঁথিতে অভিষেকের সভার আগে ভূপতিনগরে বিস্ফোরণের ঘটনায় ৩ জনের প্রাণ যায়। বিস্ফোরণস্থল থেকে দেড় কিমি দূরে তৃণমূলের বুথ সভাপতির দেহ উদ্ধার হয়েছে। ঝলসানো দেহ মেলে তৃণমূলের বুথ সভাপতি রাজকুমার মান্নার। তৃণমূল কর্মী বিশ্বজিৎ গায়েনের ঝলসানো দেহ মেলে আধ কিমি দূরে।উল্লেখ্য শনিবার কাঁথিতে, শুভেন্দুর বাড়ি শান্তিকুঞ্জের অদূরে, অভিষেকের জনসভা। যেখানে বিস্ফোরণ ঘটেছে, সেখান থেকে তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের সভাস্থলের দূরত্ব প্রায় ৪০ কিলোমিটার। অন্য দিকে, শুভেন্দুর সভায় আসার পথে বিজেপি কর্মীদের উপর হামলার অভিযোগ উঠেছে। কুলপিতে বিজেপির বাস লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টির অভিযোগ ভাঙল বিজেপি কর্মীদের বাসের কাচ। তৃণমূলের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ বিজেপির। হামলার অভিযোগ অস্বীকার শাসকদলের।