শান্তনু নস্কর, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: বছরের প্রথম দিনেই সুন্দরবনে ভোগান্তির মুখে পর্যটকরা (Tourists)। মূলত সুন্দরবনের শতাধিক বোটের (জলযান) লাইসেন্স বাতিল হওয়ায় নতুন বছরের প্রথম দিনেই হয়রানির মুখে পড়তে হয়েছে সুন্দরবনে আগত পর্যটকদের। এক হাজারের বেশি পর্যটক আটকে রয়েছেন সুন্দরবনের পাখিরালয়-সহ একাধিক পর্যটন কেন্দ্রে।


রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত তথা দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সুন্দরবন ভ্রমণে আগত পর্যটকরা হেনস্থার শিকার হচ্ছেন সকাল থেকে। সুন্দরবন ট্যুরিস্ট বোট ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন-এর তরফ থেকে সোমবার সকাল থেকে সমস্ত জলযান বন্ধ রাখা হয়েছে সুন্দরবন ভ্রমণের অনুমতি পাওয়ার দাবিতে। এই ঘটনায় এদিন সকাল থেকেই হয়রানির শিকার হচ্ছেন পর্যটকরা।


বর্ষশেষ ও বর্ষবরণের সময় অনেকেই সপরিবারে ঘুরতে বের হন। কেউ রাজ্যের বাইরে, কেউবা রাজ্যের ভিতরেই। তবে শীতকালে সুন্দরবনে পর্যটকদের ভিড় লেগেই থাকে। এদিকে নতুন বছরের প্রথমদিন পেরোলেই অনেকেই কাজে যোগ দেবেন। ফেরার তাড়া একটা লেগেই থাকে। তারই মাঝেই তাল কাটল যোগাযোগ ব্যবস্থা। যেহেতু সুন্দরবনে জলযানের উপরেই নির্ভর করেন সবাই, স্বাভাবিকভাবেই বোট বন্ধে চরম হয়রানির শিকার পর্যটকরা।


 প্রসঙ্গত, গতবছরের শেষে ঘন কুয়াশারয় দৃশ্যমানতা কমে যাওয়ায় হাওড়া ও কলকাতার মধ্যে ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছিল। একই ছবি দেখা গিয়েছিল দক্ষিণ ২৪ পরগনায়। ঘন কুয়াশার কারণে ডায়মন্ড হারবারেও প্রভাব পড়েছিল ফেরি চলাচলে। হাওড়ায় কুয়াশা এতটাই যে, ১৫-২০ মিটার দূরেও কিছু দেখা যাচ্ছিল না। দৃশ্যমানতা কমে যাওয়ায় হাওড়া ও কলকাতার মধ্যে ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছিল। কুয়াশায় ঢেকেছিল দ্বিতীয় হুগলি সেতু, হাওড়া ব্রিজ। কুয়াশার কারণে ডায়মন্ড হারবার ও পূর্ব মেদিনীপুরের কুঁকড়াহাটির মধ্যে ফেরি সার্ভিস বন্ধ রাখা হয়েছিল। 


আরও পড়ুন, নতুন বছরে উপচে পড়া ভিড় তারাপীঠে, মঙ্গল আরতি দিয়ে পুজো শুরু


অপরদিকে, এদিন রেলপথেও বিপত্তি। রেললাইনে ফাটল,শেওড়াফুলিতে ট্রেন চলাচলে বিপত্তি নতুন বছরের প্রথম দিনেই (Disrupting Local Train Service on New year)। সকাল সাড়ে সাতটা নাগাদ শেওড়াফুলি ছাতুগঞ্চ ময়লাপোতা সংলগ্ন ছয় নম্বর লাইনে পেট্রোলিং এর সময় ফাটল দেখতে পান রেল কর্মীরা। এরপরেই ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। ডাউন লাইনে শেওড়াফুলি স্টেশনে বেশ কয়েকটি ট্রেন দাঁড়িয়ে পড়ে। রিভার্স লাইন দিয়ে ধীর গতিতে ট্রেন চালু থাকে।মেন্টেনেন্স কর্মীরা কাজ শুরু করে।ফাটল ধরা রেলের পাত বদল করার কাজ শুরু হয়।