শান্তনু নস্কর, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: বছর শেষে ফের সুন্দরবনে বাঘের (Tiger) দর্শন পেলেন পর্যটকরা। তবে সামনা সামনি তো নয় বটে, তাহলে তো আর রক্ষে থাকতো না। বর্ষশেষের স্বাদ কী আর বাঘ বাবাজীবনের আছে ? তবে জাঁকিয়ে শীত না পড়লে শহর থেকে দূরে সুন্দরে বনে গাছগাছালির মাঝে ঠান্ডা খুব একটা কম নয়। শিকার খুজতে এসে মিঠে গায়ে মেখে একবার পর্যটকদের দিকে রাগী রাগী চোখ করে তাঁকালে আর পায় কে ! খ্যাঁক করাতো বৃথাই যাবে, বদলে তখন প্রোপজের ঢঙে বসে পোজ দেয় বাঘও।


বাঘ দেখে বেজায় খুশি


 মূলত বৃহস্পতিবার  নদিয়া থেকে একদল পর্যটক বেড়াতে আসেন সুন্দরবনে। বছর শেষের দিনগুলিতে সুন্দরবনে বেড়াতে এসে বাঘের দেখা মেলায় বেশ খুশি ওই পর্যটকের দল। শুক্রবার যখন তাঁরা সুন্দরবনের মরিচঝাঁপির জঙ্গল লাগোয়া নদীতে ঘুরছিলেন, তখনই বাঘের দেখা পান তাঁরা। একটি বাঘকে নিজের মেজাজে গর্জন করতে করতে নদীর চর দিয়ে হেঁটে যেতে দেখেন পর্যটকরা। আর সেই ছবি নিজেরাই মোবাইল ক্যামেরায় তোলেন। তাই স্বাভাবিকভাবেই সুন্দরবন বেড়াতে এসে বাঘের দেখা মেলায় খুশি ওই পর্যটকরা।


বাঘের সুস্থভাবে বেঁচে থাকার জন্য় কড়া নজর রাখে বন দফতর


তবে আগের থেকে এখন অনেক বেশি সতর্ক সরকার। চোরাশিকারিদের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য এখন সবসময় কড়া নজর রাখে বন দফতর। বাঘের সুস্থভাবে বেঁচে থাকার জন্য় যে স্বাভাবিক বাস্তুতন্ত্রের প্রয়োজন, তার ভারসাম্যের দিকেও নজর রাখা হচ্ছে। স্বাভাবিকভাবেই যতো জনজীবন থেকে তাঁরা দূরে থাকবে, ততই তারা সুস্থ স্বাভাবিক থাকবে। বন দফতর সূত্রে খবর, ২০১৮-১৯ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, সুন্দরবনে, বাঘের সংখ্যা ছিল, ১১১টি। ২০২১-এ পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, সুন্দরবনে, আনুমানিক ২৩টি বাঘ বেড়েছে। সুন্দরবনে বাঘের ওপর নজর রাখতে,  প্রত্যন্ত এলাকায় বসানো হয় ক্যামেরা ট্র্যাপ। আর সেই ১২০০ ক্যামেরা থেকে পাওয়া ছবি বিশ্লেষণ করে চলেছে বন দফতর।


আরও পড়ুন, 'বিস্ময়ের কিছু নেই', নাট্যকর্মীর হেনস্থাকাণ্ডে কড়া প্রতিক্রিয়া কৌশিক সেনের


পর্যটনও পশ্চিমবঙ্গের মুদ্রার অপর পিঠ


তবে পর্যটনও পশ্চিমবঙ্গের মুদ্রার অপর পিঠ। যেহেতু প্রতিবছর এই সময়টার দিকে তাঁকিয়েই দুটো রোজগারপাতি হয় দক্ষিণবঙ্গবাসীর , তাই সেদিকেও নজর রাখতে হয়। বলাইবাহুল্য সব মিলিয়ে মাঘের শীতে বাঘ পালানোর আগে বাঙালির বাঘদর্শনের সাধ হয়ে গেল বাংলার মাটিতেই।