জয়ন্ত রায়, মহেশতলা: মদের আসরে মোবাইল ফোন খোওয়া যাওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই বন্ধুর হাতাহাতি। ঠেকাতে গিয়ে প্রাণ গেল ষাটোর্ধ্ব মহিলার। মহেশতলা পুরসভার ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের আক্রার ঘটনা।
প্রাণ গেল বৃদ্ধার: পুলিশ সূত্রে খবর, পেশায় দর্জি দুই বন্ধু আশরফ মণ্ডল ও জুম্মান আলি মোল্লা গতকাল নেশাগ্রস্ত অবস্থায় মারামারিতে জড়িয়ে পড়েন। অভিযোগ, মোবাইল ফোন খোয়া যাওয়ার কথা বলে আশরফের বাড়িতে চড়াও হয়ে মারধর করেন জুম্মান। বাধা দিতে গেলে আশরফের মা হালিমা বিবিকে সজোরে ধাক্কা মারেন তিনি। পরে চিকিৎসকরা ওই মহিলাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ঘটনার পর থেকেই পলাতক মূল অভিযুক্ত। সন্ধান চালাচ্ছে মহেশতলা থানার পুলিশ।
আশরাফ মণ্ডলের পরিবারের অভিযোগ, জুম্মান আলি তাঁদের বাড়িতে চড়াও হয়ে আশরাফকে মারধর করার পাশাপাশি বাড়ির মহিলাদেরও মারতে শুরু করে। দুই বন্ধুর ঝগড়া হচ্ছে দেখে আশরাফের মা হালিমা বিবি দুপক্ষকেই চুপ করতে বলেন। তীব্র বাকবিতণ্ডার মাঝে হালিমা বিবিকে সজোরে ধাক্কা মারে জুম্মান আলি। ঘটনাস্থলেই লুটিয়ে পড়েন হালিমা বিবি। বাড়িতেই ডাকা হয় চিকিৎসক। হালিমা বিবিকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তেই জুম্মান আলির পরিবারের লোকেরা বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যায় বলে অভিযোগ। যদিও জুম্মানের বৌদির দাবি, ওই কাজ তাঁরা সমর্থন করেন না। রাতেই মহেশতলা থানার পুলিশ দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে। মূল অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে। ঘটনায় শোকের ছায়া এলাকায়।
আলিপুরদুয়ার ১ নম্বর ব্লকে তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যকে খুনের চেষ্টার অভিযোগ উঠল বিজেপির বিরুদ্ধে। জ্বালিয়ে দেওয়া হয় মোটরবাইক। গুরুতর জখম পাতলাখাওয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্য সাফিউল মিয়া হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। অভিযোগ, গতকাল রাতে বাড়ি ফেরার পথে, রাস্তা আটকে হামলা চালায় বিজেপি আশ্রিত ১০-১২ জন দুষকৃতী। বনদুকের বাঁট দিয়ে মারার পাশাপাশি, লাঠি-রড দিয়েও বেধড়ক পেটানো হয়। পঞ্চায়েত ভোটে জেতার পর থেকেই এলাকায় তাণ্ডব চালাচ্ছে বিজেপি, অভিযোগ তৃণমূল নেতৃত্বের। শাসকদলের গোষ্ঠীকোন্দলের জেরে এই ঘটনা, পাল্টা দাবি গেরুয়া শিবিরের।
আরও পড়ুন: Bankura News: বেহাল দশা রাস্তার, ঝুড়ি-কোদাল নিয়ে সংস্কারে নামলেন খোদ বিজেপি বিধায়ক