জয়দীপ হালদার, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: গত দুবছর ধরে করোনা (Coronavirus) অতিমারির জেরে বিপর্যস্ত জনজীবন। এবার করোনা মোকাবিলায় দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) সাগর গ্রামীন হাসপাতালে তৈরি হচ্ছে অক্সিজেন প্লান্ট। সূত্রের খবর, আসন্ন গঙ্গাসাগর মেলার আগেই এই অক্সিজেন প্লান্ট তৈরি হবে।জানা যাচ্ছে, করোনা অতিমারির মোকাবিলায় ডায়মন্ড হারবার স্বাস্থ্য জেলার সাগর গ্রামীন হাসপাতালে তৈরি হচ্ছে মেডিক্যাল অক্সিজেন প্লান্ট। ডায়মন্ড হারবার স্বাস্থ্য জেলার মধ্যে সাগর গ্রামীন হাসপাতাল। বর্তমানে সেখানে ৬০ বেডের চিকিৎসা ব্যবস্থা চালু রয়েছে। খুব শীঘ্রি তা বেড়ে ১০০ বেডের কোভিড চিকিৎসা ব্যবস্থা চালু হবে বলে জানা যাচ্চে। ফলে স্বাস্থ্য জেলার অধীন এই প্রথম কোনও গ্রামীন হাসপাতালে তৈরি হতে চলেছে অক্সিজেন প্লান্ট।


রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যে রোজই বাড়ছে। তার উপর এখন চলছে কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউ। বিশেষজ্ঞরা আগেই সাবধান করে রেখেছেন যে, খুব শীঘ্রই আসতে চলেছে তৃতীয় ঢেউ। দক্ষিণ ২৪ পরগনাতেও কোভিডের সংখ্যা বাড়তে শুরু করেছে। সুন্দরবনের সবথেকে বড় ব-দ্বীপ এই সাগর দ্বীপ। কোভিড চলাকালীন আক্রান্ত রোগীদের অক্সিজেন পরিষেবা দিতে সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছিল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে। এতদিন পর্যন্ত বিচ্ছিন্ন এই দ্বীপে সময় মতো করোনা রোগীকে অক্সিজেন সরবরাহ করা সম্ভব হত না। কারণ হিসেবে জানা যাচ্ছে, ডায়মন্ড হারবার থেকে সাহরে আসতে হলে মুড়িগঙ্গা নদি পেরিয়ে তবে আসতে হয়। কিন্তু নদীতে ভাটা হয়ে গেলে ৬ থেকে ৭ ঘণ্টা কাকদ্বীপের লট এইটে অথবা সাগরের কচুবেড়িয়া ঘাটে বসে থাকতে হয়। ফলে অক্সিজেনের অভাবে মৃত্যু ঘটত বহু মানুষের।


ডায়মন্ড হারবার মেডিক্যাল কলেজ সূত্রে জানা গিয়েছে, পিএসএ মেডিক্যাল অক্সিজেন প্লান্ট চালু হলে প্রতি মিনিটে ৮০০ লিটার অক্সিজেন তৈরি হবে। এই বিষয়ে ডায়মন্ড হারবার জেলার স্বাস্থ্য আধিকারিক দেবাশীষ রায় বলেন, 'ডায়মন্ড হারবার স্বাস্থ্য জেলার মধ্যে এই প্রথম আমরা কোনও গ্রামীন হাসপাতালে অক্সিজেন প্লান্ট তৈরি করতে চলেছি। কোভিড পরিস্থিতিতে অক্সিজেনের ঘাটতির জন্য, অসুস্থ রোগীদের প্রাণ সংশয় হবে না।  এই প্লান্ট বসায় যথেষ্টই খুশি সাগরবাসী।' শুধু সাগরবাসী নয় সামনের সাগর মেলায় বাইরে থেকে আসা পুণ্যার্থীরা চিকিৎসা ব্যবস্থার অনেকটাই  সুফল পাবে  বলে মনে করছে জেলা প্রশাসন।