রঞ্জিত হালদার, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: তোলাবাজির অভিযোগ ঘিরে ধুন্ধুমার। তার জেরে পুলিশের সঙ্গে খণ্ডযুদ্ধে জড়ালেন ব্যবসায়ীরা। ঘটনাস্থল দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুরের হাট। তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতির বিরুদ্ধে তোলাবাজিতে মদত দেওয়ার অভিযোগ করেছেন দলেরই স্থানীয় নেতা। পাল্টা তাঁর বিরুদ্ধেই দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছেন অঞ্চল সভাপতি।

  


তোলাবাজির অভিযোগে ব্যবসায়ীদের অবরোধ ঘিরে ধুন্ধুমার বাধল দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুরে। অবরোধ তুলতে গেলে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি বেঁধে যায় ব্যবসায়ীদের। পরিস্থিতি সামলাতে লাঠি চালাতে হয় পুলিশকে। এই ঘটনার জেরেই প্রকাশ্য়ে এসেছে তৃণমূলের অন্দরের বিবাদ।


বারুইপুরের সূর্যপুর হাটের ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, তোলা না দেওয়ায় বৃহস্পতিবার তাঁদের ওপর চড়াও হয় দুষ্কৃতীরা। ধারাল অস্ত্র ও আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে হুমকিও দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। বারুইপুরের সূর্যপুর হাটের ব্যবলায়ী রবিউল নস্কর বলেন, 'ছুরি, মেশিন নিয়ে এসেছিল। আমরা তোলা দিইনি বলে হামলা করেছে।' তার প্রতিবাদে কুলপি রোড অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন ব্যবসায়ীদের একাংশ। তাঁদের দাবি, সেই সময় এক দুষ্কৃতীকে সামনে পেয়ে ঘিরে ধরেন ব্যবসায়ীরা। তাঁকে উদ্ধার করতে গেলে পুলিশের সঙ্গেই ব্যবসায়ীদের ধস্তাধস্তি বেধে যায়। তোলাবাজিতে মদত রয়েছে দলেরই অঞ্চল সভাপতির, বিস্ফোরক অভিযোগ করেন ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক ও স্থানীয় তৃণমূল নেতা। 


তরজা-অভিযোগ:
সূর্যপুর হাটের ব্যবসায়ী সমিতির তৃণমূল নেতা ও সম্পাদক আবদুল্লা পুরকায়স্থ বলেন, 'ধপধপি ১ নম্বর অঞ্চলের সভাপতি সইদুল মোল্লা এর সঙ্গে যুক্ত আছে। আমরা তোলাবাজির বিরুদ্ধে। আমাকেও মারধর করে।' পাল্টা ধপধপি (১) অঞ্চল সভাপতি সইদুল হক মোল্লা বলেন, 'এসব মিথ্যে অভিযোগ। আবদুল্লা পুরকাইত এদের নিয়ে অস্থায়ী কমিটি তৈরি হয়েছিল। সেই সময় একাধিক দুর্নীতি করেছেন আবদুল্লা।'


গোটা বিষয়টি নিয়ে কটাক্ষ করেছে বিজেপি। তৃণমূলের বিরুদ্ধেই অভিযোগের আঙুল তুলেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা পূর্ব সাংগঠনিক জেলার সভাপতি উত্তম কর। প্রায় ৪৫ মিনিট পর কুলপি রোড থেকে অবরোধকারী ব্যবসায়ীদের সরিয়ে দেয় পুলিশ।


উত্তরবঙ্গে মূর্তি ভাঙচুর:
একদিকে দক্ষিণ ২৪ পরগনায় যখন এমন ঘটনা তখন উত্তরবঙ্গের নকশালবাড়িতে ভাঙচুর করা হল লেনিনের মূর্তি। মূর্তি ভাঙচুরের ঘটনার বিজেপির হাত রয়েছে বলে অভিযোগ করেছে সিপিআইএমএল। দার্জিলিংয়ের সিপিআইএমএলের সাধারণ সম্পাদক অভিজিৎ মজুমদার বলেছেন, 'বিজেপি ও আরএসএস এই অঞ্চললে শক্তিশালী হয়েছে। তারাই এই কাজ করে থাকতে পারে। মূর্তি ওদের সংস্কৃতি। আন্দোলনে নামব'। আক্রমণের সুর চড়িয়ে দার্জিলিংয়ের সিপিএম সম্পাদক জীবেশ সরকার বলেছেন, 'ফ্যাসিবাদী শক্তি মাথা চাড়া দিয়েছে। আসল অপরাধীকে খুঁজতে হবে পুলিশকে।' তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠলেও তা অস্বীকার করেছে বিজেপি। পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।

আরও পড়ুন: বিস্ফোরক ত্বহা সিদ্দিকি, নিশানায় অভিষেক! কেন?