শান্তনু নস্কর, ক্যানিং: দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিং থানার দীঘির পাড় ও মাতলা ১ নং গ্রাম পঞ্চায়েতের একাধিক এলাকা জলমগ্ন, কোথাও হাঁটু সমান জল তো কোথাও কোমর। অসুবিধায় সাধারণ মানুষ। বৃষ্টি হলেই এখানকার মানুষের ভোগান্তি চরমে পৌঁছয়।
এদিকে বৃষ্টিতে জলমগ্ন পশ্চিম মেদিনীপুরের খড়গপুর শহর। রাস্তায় জমেছে হাঁটু সমান জল। উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র চত্বরেও জমেছে জল। চরম দুর্ভোগের শিকার এলাকাবাসী। এই পরিস্থিতিতে জমা জল নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।
রাস্তা না পুকুর ? বোঝা দায় ! রাস্তার জল ঢুকে গেছে দোকানেও! রবিবারের বৃষ্টির জেরে, চরমে জল যন্ত্রণা। জল থইথই খড়গপুর পুরসভার অন্তত ১০টি ওয়ার্ড। খড়গপুরের সারদা পল্লি, আনন্দনগর, কৌশল্যা, ঝপেটাপুর, গোলবাজার সহ বিস্তীর্ণ এলাকায় দুর্ভোগের জলছবি।
জমা জলে বিপর্যস্ত জনজীবন। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে এলাকাবাসী। খড়গপুরের বাসিন্দা বাপি সাহু বলেন, অল্প একটু বৃষ্টি হলেই জল জমে যায়। পল্লীবাসীর দুর্ভোগ। আমাদের ভয় লাগে, একটু বৃষ্টি হলে বাড়িতে জল ঢুকে যায়। পুর পরিষেবা বলে কিছু নেই। খুব দুশ্চিন্তার মধ্যে থাকতে হয়। স্নান করে নালির জল পেরিয়ে যেতে হয়। প্রচুর সমস্যা হচ্ছে। আর এই নিয়েই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। খড়গপুরের বিজেপির মণ্ডল সভাপতি শ্রী রাও বলেন, সাত বছর আগে খড়গপুর পুরসভার পুরপিতা সবথেকে বড় মিথ্যা কথা বলেছিলেন। খড়গপুর শহরে নিকাশি ব্যবস্থার জন্য মাস্টার প্ল্যান তৈরি হচ্ছে। সাত বছর ধরে আমরা শুনছি। কিন্তু, আজ পর্যন্ত এই মাস্টার প্ল্যান তৈরি হল না। সরাসরি খড়্গপুরের মানুষদের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করছে।
একের পর এক প্রাকৃতিক দুর্যোগ। বর্ষার বৃষ্টির জল পুরোপুরি নামার আগেই ফের নিম্নচাপের বৃষ্টি। চূড়ান্ত দুর্ভোগে অশোকনগর-কল্যাণগড় পুরসভার ৯ ও ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দারা। আর এই জমা জল নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। জল জমেছে আনন্দনগরের উপ স্বাস্থ্যকেন্দ্র চত্বরেও। সেখানে জল ঠেলেই ভ্যাকসিন নিতে যেতে হচ্ছে স্থানীয়দের।