গৌতম মণ্ডল, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: নিম্নচাপ ও মৌসুমী অক্ষরেখার জোড়া ফলায় বিপর্যস্ত দক্ষিণ ২৪ পরগনা। গতকাল থেকে দফায় দফায় ভারী বৃষ্টি হচ্ছে জেলা জুড়ে। বৃষ্টির সঙ্গে বইছে ঝোড়ো বাতাস। রাত থেকে বৃষ্টির পরিমাণ বাড়ে। সঙ্গে বাতাসের দাপটও বাড়ে।


জানা গিয়েছে, সুন্দরবন উপকূলে ঝড়ের দাপট ছিল ঘন্টা ৫০ থেকে ৬০ কিলোমিটার। ঝড়ের জেরে কাকদ্বীপ মহকুমার নামখানা, সাগর, পাথরপ্রতিমায় একাধিক কাঁচাবাড়ি, গাছ, পানের বরজ ভেঙে পড়েছে। জলমগ্ন হয়ে পড়েছে নিচু এলাকাগুলি। নামখানা এলাকায় বেশ কিছু বাড়িতে জল ঢুকেছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। সকাল থেকেও নাগাড়ে বৃষ্টি চলছে, সঙ্গে ঝোড়ো বাতাস। ঝড় -বৃষ্টির জেরে সমুদ্র উত্তাল থাকায় মৎস্যজীবীদের আগামীকাল পর্যন্ত সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। আজ দিনভর দুর্যোগের পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস।


আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর,শরতের আকাশে দুর্যোগের ঘনঘটা। কলকাতা থেকে ১০০ কিলোমিটার দূরে গভীর নিম্নচাপ। দক্ষিণবঙ্গে পুজোর মুখে নিম্নচাপের ভ্রুকুটি। আজ ও কাল দক্ষিণবঙ্গজুড়ে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা। শনিবার কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, দুই ২৪ পরগনা, দুই মেদিনীপুর, দুই বর্ধমান-সহ ১৫টি জেলায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। কোথাও কোথাও কাল থেকেই শুরু হয়েছে দুর্যোগ। গভীর নিম্নচাপ বাংলাদেশের পটুয়াখালি দিয়ে স্থলভাগে ঢুকে পশ্চিমবঙ্গ উপকূলের দিকে এগোচ্ছে। আগামী ৪৮ ঘণ্টায় সেটি গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের ওপর দিয়ে যাবে। অন্যদিকে, পাঞ্জাব থেকে বাংলার ওপর দিয়ে বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত মৌসুমী অক্ষরেখা। ঝোড়ো হাওয়া ও প্রবল বৃষ্টির জেরে সমুদ্র উত্তাল থাকায়, আগামীকাল পর্যন্ত মৎস্যজীবীদের মাছ ধরতে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। উত্তরবঙ্গের সব জেলাতেও আজ ও কাল বৃষ্টি হবে।  


আরও পড়ুন, সপ্তাহান্তে পেট্রোলের দাম কমল ৯ জেলায়, আজ জ্বালানি ভরাতে খরচ কত ?


  দফায় দফায় ভারী বৃষ্টির জেরে কিছুদিন আগেও বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিল দক্ষিণ ২৪ পরগনার জনজীবন। বৃষ্টির জেরে কাকদ্বীপ ও ডায়মন্ড হারবার মহকুমার নীচু এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়েছিল। বৃষ্টির জেরে সুন্দরবনের নদী ও সমুদ্রের জলস্তর বৃদ্ধি পেয়েছিল। জোয়ারের সময় বাঁধের কানায় জল চলে এসেছিল। সুন্দরবনের বেহাল বাঁধ উপচে জল ঢুকে পড়েছিল নামখানা, সাগর ও পাথরপ্রতিমার বেশ কিছু এলাকায়। সেবার সাগরের সমুদ্রতটের ভাঙন ঘুরে দেখেন সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী বঙ্কিম হাজরা। সুন্দরবনের যে সমস্ত নদী বাধ, গত কয়েকটা কটালের জেরে বেহাল অবস্থা ছিল, সেই সমস্ত নদী বাধ কানায় কানায় ভর্তি হয়ে গিয়েছিল। ধস নেমেছিল একাধিক জায়গায়। বিশেষ করে নামখানা ব্লকের যে নামখানা পঞ্চায়েত রয়েছে, এবং সেই পঞ্চায়েত এলাকায় যে নদী বাধ রয়েছে, সেখানেও ধস নেমেছিল। গঙ্গা সাগরের সমুদ্রতট পূর্বে কয়েকটা কটালে ব্যাপকভাবে ভাঙন হয়েছিল।ওই ভাঙন আরও বড় আকার নিয়েছিল। এখানেই শেষ নয়, ভাঙন এগিয়ে আসছিল কপিল মুনির আশ্রমের দিকে। 


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।