গৌতম মণ্ডল, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: এবার দক্ষিণ ২৪ পরগনাতেও ট্যাব কেলেঙ্কারিতে (Tab Scam) বিহার-যোগ। ‘তরুণের স্বপ্ন’ প্রকল্পে রাজ্য সরকারের দেওয়া একাদশ ও দ্বাদশের পড়ুয়াদের ট্যাবের টাকা নিয়ে বিস্তর গরমিলের অভিযোগ উঠেছে।


ট্যাব কেলেঙ্কারিতে বিহার-যোগ: ছাত্রছাত্রীদের স্বপ্ন দেখাতে সরকারি প্রকল্পের সূচনা হয়েছিল। কিন্তু বহুক্ষেত্রে ট্যাব কিনতে সরকারের দেওয়া সেই ১০ হাজার টাকাই হঠাৎ করে গায়েব হয়ে যাচ্ছে! এক অ্য়াকাউন্টে পড়ার কথা, চলে যাচ্ছে অন্য় অ্য়াকাউন্টে। ক্রমেই লম্বা হচ্ছে অভিযোগের তালিকা। পূর্ব মেদিনীপুর থেকে পূর্ব বর্ধমান, মালদা থেকে উত্তর ২৪ পরগনা, মুর্শিদাবাদ থেকে পশ্চিম বর্ধমান, ঝাড়গ্রাম। হাওড়া, দক্ষিণ ২৪ পরগনা থেকে কলকাতা  ছড়াচ্ছে জালিয়াতির কারবার। এ রাজ্যের পড়ুয়াদের ট্যাব কেনার টাকা চলে গেছে ভিনরাজ্য়ে। জমা পড়েছে বিহারের কিষাণগঞ্জে, বৈশালীতে। 


অভিযোগ, জেলার ২৫-৩০টি স্কুলের প্রায় সাড়ে তিনশো পড়ুয়ার ট্যাবের টাকা অন্যের অ্যাকাউন্টে ঢুকেছে। চলে গেছে বিহারের কিষাণগঞ্জ ও বৈশালী জেলার ভগবানপুরে। গরমিলের পরিমাণ প্রায় ৩৫ লক্ষ টাকা। এই তালিকায় রয়েছে সাগর, গোসাবা, কুলপি, কুলতলি, মগরাহাট, সোনারপুর, বারুইপুর, বজবজ ও মহেশতলার একাধিক স্কুল। এছাড়া, জেলার প্রায় চারশো পড়ুয়ার টাকা এখনও অ্যাকাউন্টে ঢোকেনি। ট্যাব নিয়ে অভিযোগের পাহাড় জমছে। স্কুলগুলিকে থানায় অভিযোগ দায়ের করতে বলা হয়েছে। ইতিমধ্যেই জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শকের সঙ্গে বৈঠক করেছেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলাশাসক। 


কলকাতার স্কুলে ট্যাব কেলেঙ্কারিতে চোপড়া লিঙ্ক? উত্তর দিনাজপুর থেকে কলকাতা পুলিশের জালে দুই অভিযুক্ত। গতকাল বেহালার সরশুনার একটি স্কুলের তরফে অভিযোগ জমা পড়ে। বলা হয়, ৩১ জন পড়ুয়ার ট্যাবের টাকা অন্য অ্যাকাউন্টে জমা পড়েছে। তদন্তে নেমে উত্তর দিনাজপুরের চোপড়া থেকে ২ জনকে গ্রেফতার করে সরশুনা থানার পুলিশ। এছাড়া, যাদবপুর ও কসবা থানাতেও দুটি স্কুলের তরফে অভিযোগ জমা পড়েছে। ট্যাব কেলেঙ্কারির তদন্তে নেমেছে লালবাজারের গোয়েন্দা শাখা। অন্যদিকে, এই নিয়ে ট্যাব কেলেঙ্কারিতে চোপড়া থেকে ধৃতের সংখ্যা বেড়ে হল ৫। এর আগে চোপড়া থেকে ৩ জনকে গ্রেফতার করে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পুলিশ। 


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।    


আরও পড়ুন: Ghatal Tab Scam: ঘাটালেও ট্যাব প্রকল্পের টাকা গায়েব, ৪৬ জন পড়ুয়ার টাকা উধাও