সুকান্ত মুখোপাধ্যায় ও জয়দীপ হালদার, উস্তি: ৬ দিনের লড়াই শেষ। শুক্রবার রাতে এসএসকেএম হাসপাতালে মৃত্যু হল দক্ষিণ ২৪ পরগনার উস্তির গুলিবিদ্ধ যুব তৃণমূল নেতা সুজাউদ্দিন গাজির। তিনি উত্তর কুসুম অঞ্চলের যুব তৃণমূল সভাপতি ছিলেন। শনিবার রাতে নিহত নেতার দেহ গ্রামে পৌঁছলে নতুন করে উত্তেজনা ছড়ায়।


যুব নেতার পরিবার অভিযোগ করে, গত রবিবার রাতে মোটরবাইকে করে বাড়ি ফিরছিলেন সুজাউদ্দিন। বাড়ির কাছে একটি কালভার্টের সামনে গতি কমালে, রাস্তা আটকায় জনা ছয়েক দুষ্কৃতী। এরপর খুব কাছ থেকে গুলি করে হামলাকারীরা পালিয়ে যায় তারা। রক্তাক্ত অবস্থাতেই মোটরবাইক নিয়ে কোনওরকমে বাড়ি ফেরেন ৩৮ বছরের যুব নেতা। সেদিন রাতেই যুব তৃণমূল নেতাকে এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এখানেই মৃত্যু হয় তাঁর।


এই ঘটনায় মগরাহাট পশ্চিমের বিধায়ক ও প্রাক্তন মন্ত্রী গিয়াসউদ্দিন মোল্লার দিকেই অভিযোগের আঙুল তুলেছে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের একাংশ। একটি অডিও ক্লিপ প্রকাশ করে বিধায়ককেই কাঠগড়ায় তুলেছে তারা। যদিও এই ক্লিপের সত্যতা যাচাই করেনি এবিপি আনন্দ।


মগরাহাট ১-এর ব্লক যুব তৃণমূল সভাপতি ইমরান হোসেনের অভিযোগ, ‘কিছুদিন আগে বিধায়ক ফোন করে প্রাণে মারার হুমকি দেন। সুজাউদ্দিন গাজির মৃত্যুর জন্য উনিই দায়ী। আমরা শাস্তির দাবি করছি। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে জানিয়েছি।’


উত্তর কুসুম গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান ও তৃণমূল নেতা কুতুবউদ্দিন লস্করেরও অভিযোগ, ‘আমার সঙ্গেই থাকত সুজা, তাই ওকে মেরেছে। বিধায়ক দায়ী।’


যদিও বিধায়ক এদিনও দাবি করেছেন, দুষ্কৃতীদের কাউকেই তিনি চেনেন না। তাঁর বিরুদ্ধে চক্রান্ত করেই অভিযোগ করা হচ্ছে।


শনিবার রাতে সুজাউদ্দিন গাজির দেহ পৌঁছয় গ্রামে। নতুন করে দেখা দেয় উত্তেজনা। তৃণমূল ব্লক পার্টি অফিস তালাবন্ধ থাকায় রাজ্য সড়কেই শেষশ্রদ্ধা জানানো হয় নিহত যুব নেতাকে। এই ঘটনাতেও অভিযোগ উঠেছে বিধায়ক গিয়াসউদ্দিন মোল্লার বিরুদ্ধে।


এ বিষয়ে তৃণমূল বিধায়ক ও রাজ্য সাধারণ সম্পাদক শওকত মোল্লা বলেছেন, ‘পার্টি অফিস খোলা থাকলেই ভাল হত। কেন বন্ধ থাকল জানি না। কথা বলব।’


তবে এ বিষয়ে এখনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি গিয়াসউদ্দিন মোল্লার।