গৌতম মন্ডল, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: আজ থেকে টানা তিনদিন সুন্দরবন ও ডায়মন্ড হারবারজুড়ে বেসরকারি বাস ও মিনিবাস পরিষেবা বন্ধ (Trasport Service)। সপ্তাহের প্রথম কাজের দিনে চূড়ান্ত ভোগান্তির শিকার যাত্রীরা (Passengers)।


কলকাতা যোগাযোগকারী সব বাস ও মিনিবাস বন্ধ


বিভিন্ন কলেজের দ্বিতীয় সেমিস্টারের পরীক্ষা চলছে। কাকদ্বীপ কলেজের সিট পড়েছে ডায়মন্ড হারবারের ফকিরচাঁদ কলেজে। বেসরকারি বাস ও মিনিবাস পরিষেবা পুরোপুরি বন্ধ থাকায়, সমস্যায় পড়েছেন পরীক্ষার্থীরাও। ডায়মন্ড হারবার, কাকদ্বীপ, বকখালি, পাথরপ্রতিমা, রায়দিঘির সঙ্গে কলকাতা যোগাযোগকারী সব বাস ও মিনিবাস বন্ধ।


পুলিশি জুলুমের অভিযোগ তুলেছেন বাস মালিকরা


প্রায় হাজারের কাছাকাছি বাস ও মিনিবাস বন্ধ থাকায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন সাধারণ যাত্রীরা। হাতে গোনা সরকারি বাস পথে নেমেছে। সেগুলিতেও ঠাসাঠাসি ভিড়। জয়েন্ট কমিটি অফ বাস অপারেটর্স অ্যাসোসিয়েশন, দক্ষিণ ২৪ পরগনা শাখার তরফে অভিযোগ করে হয়েছে, সুন্দরবন ও ডায়মন্ড হারবারে অবাধে চলাচল করছে পারমিটহীন অটো, টোটো, ট্রেকার। এছাড়াও, পুলিশি জুলুমের অভিযোগ তুলেছেন বাস মালিকরা। প্রশাসনের প্রতিক্রিয়া এখনও মেলেনি।


আরও পড়ুন, শ্লীলতাহানির অভিযোগে গ্রেফতার অধ্যাপক, যাদবপুরের হুমকি-চিঠিতেও নাম জড়িয়েছিল তাঁর


বাস সংগঠনের পক্ষ থেকে আরও কী কী অভিযোগ ?


বাস সংগঠনের পক্ষ থেকে অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে এই এলাকায় অবৈধ যানে যাত্রী পরিবহন চলছে। যার ফলে লোকসানের মুখে পড়তে হচ্ছে বাস ও মিনিবাসগুলিকে। বারে বারে প্রশাসন ও আরটিওকে জানিয়ে কোনও সুরাহা হয়নি। প্রশাসন যদি দাবি না মানে, লাগাতার বাস বন্ধ রেখে আন্দোলন চলবে।


গতবছরও এসবিএসটিসির অস্থায়ী কর্মীদের আন্দোলনের জেরে বাস বন্ধ ছিল


প্রসঙ্গত, গতবছরও পুজোর মুখে,এসবিএসটিসির অস্থায়ী কর্মীদের আন্দোলনের জেরে এক টানা অনেকদিন বাস বন্ধ ছিল। দুর্গাপুরে SBSTC-র ডিপোয় সার সার বাস দাঁড়িয়েছিল। স্থায়ী কর্মীদের দিয়ে কলকাতাগামী কয়েকটি বাস চালানো হলেও, তা পর্যাপ্ত নয়। ফলে বহু মানুষ আটকে পড়েছিলেন সেবার। হয়রানির ছবি প্রকাশ্যে এসেছিল বীরভূমেরও।


অস্থায়ী কর্মীদের দাবি


অন্যদিকে, উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থার কয়েকটি বাস চললেও, তাতে ঠাসা ভিড়। বেশ কিছু জেলায় সরকারি বাস পরিষেবা কার্যত বন্ধের মুখে। যাত্রীদের ভোগান্তি চরমে। বীরভূমের রামপুরহাট ও সিউড়ি, দুটি ডিপো থেকেই বন্ধ ছিল বাস চলাচল। তারপরেই দাবি মেনে বড় ঘোষণা করেছিলেন পরিবহণমন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী। অস্থায়ী কর্মীদের দাবি মেনে মাসে ২৬ দিন কাজের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল।