কলকাতা: অবশেষে খুলছে কসবার ল'কলেজ (South Calcutta Law College)। ইউনিয়ন রুম বন্ধ রেখে কলেজ খোলার সিদ্ধান্ত নিল কলেজ কর্তৃৃপক্ষ। লালবাজারের তরফে কলেজ কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে, 'কসবার ল'কলেজে আরও নিরাপত্তা বাড়াতে হবে।'
কসবার এই আইন কলেজেই ছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে এক প্রাক্তনী এবং দুই বর্তমান পড়ুয়ার বিরুদ্ধে। আর এরপরই গত ২৯ তারিখ কলেজের তরফে নোটিস দেওয়া হয়। সেখানে জানানো হয় বিএ এলএলবি এবং এলএলএম - এইসব কোর্সের পঠনপাঠন অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করা হচ্ছে। এছাড়াও পড়ুয়াদের কলেজ চত্বরে আসতে নিষেধ করা হয়েছে। সাউথ ক্যালকাটা ল' কলেজের অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে জানানো হয়, কলেজের গভর্নিং বডির তরফে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই হাইকোর্ট সব কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইউনিয়ন রুম বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে। সেই নির্দেশ অনুযায়ী, ইউনিয়ন রুম বন্ধ রেখেই খোলা হচ্ছে সাউথ ক্যালকাটা ল' কলেজ। লালবাজারের তরফে কসবার ল'কলেজে আরও নিরাপত্তা বাড়ানোর কথা বলা হয়েছে।
জুলাইয়ের মাঝখান থেকেই শুরু পরীক্ষা। ফলে, কলেজ বন্ধ থাকায় একদিকে যেমন পঠনপাঠন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছিল। তেমনই থমকে ছিল প্রশাসনিক কাজকর্মও। এই প্রশ্নও উঠতে শুরু করেছিল, যে ঘটনাস্থল কর্ডন ও সিল করে রাখার পরও কেন গোটা কলেজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল? এই প্রেক্ষাপটে বুধবার হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন কলেজ কর্তৃপক্ষ। পাশাপাশি, কলেজ খুলতে চাওয়ার আবেদন জানিয়ে চিঠি দেওয়া হয়, কলকাতা পুলিশকেও। বৃহস্পতিবার কলকাতা পুলিশের তরফে চিঠিতে জানানো হয়, কলেজে পঠনপাঠন চালানোর ব্য়াপারে তাদের কোনও আপত্তি নেই। তবে, ঘটনাস্থল, অর্থাৎ যেখানে নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে, সেই গার্ডরুম এবং ইউনিয়ন রুম কোনওভাবেই খোলা বা ব্য়বহার করা যাবে না। তদন্তকারী আধিকারিকদের অনুমতি ছাড়া কোনও অফিসিয়াল নথিপত্র, এমপ্লয়ি রেজিস্টার, অ্য়াটেনডেন্স রেজিস্টার নষ্ট করা যাবে না। কলেজ সূত্রে খবর, ইতিমধ্য়েই এব্য়াপারে পরিচালন সমিতি বৈঠক করেছে। তারপরই সোমবার কলেজ খোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এদিকে, বৃহস্পতিবার আলিপুর কোর্টে ৩টি পিটিশন দাখিল করেছে সাউথ ক্য়ালকাটা ল কলেজ কর্তৃপক্ষ। যেখানে কলেজ ক্য়াম্পাসে পুলিশি নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার জন্য় আবেদন জানানো হয়েছে। এছাড়া, অস্থায়ী কর্মীদের বেতন দেওয়ার প্রশাসনিক কাজ এবং পরীক্ষা সংক্রান্ত কাকর্মও যাতে শুরু করা যায় তার জন্য়ও আর্জি জানানো হয়েছে। কলেজ কর্তৃপক্ষ পিটিশনে জানিয়েছে, OC কসবাকে নির্দেশ দেওয়া হোক, যাতে কলেজে নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা হয়। বিশেষত কলেজ আওয়ার্স শেষের পর। অন্য়দিকে, কলেজের প্রশাসনিক কাজ শুরুও যাতে হয়। কারণ, অনেক অস্থায়ী কর্মী, তাঁদের বেতন আটকে রয়েছে।