চঞ্চল মজুমদার, দক্ষিণ দিনাজপুর: কালনার পর বংশীহারি। এবার দক্ষিণ দিনাজপুরে প্রেমিকের সাহায্য নিয়ে স্বামীকে খুনের অভিযোগ উঠল স্ত্রীর বিরুদ্ধে। আজ সকালে এই নিয়ে উত্তেজনা ছড়ায় বংশীহারির চেরাগি পাড়া এলাকায়। দেহ উদ্ধারে গেলে পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় বাসিন্দারা। মৃতের নাম অনুপ সরকার। স্থানীয়দের দাবি, প্রতিবেশী যুবকের সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়ান অনুপের স্ত্রী। এই নিয়ে অশান্তি চলছিল। অভিযোগ, স্বামী প্রতিবাদ করায় গতকাল তাঁকে খুন করে আত্মহত্যা প্রমাণে মৃতদেহ ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। সকালে ঘটনা জানাজানি হতেই উত্তেজনা ছড়ায়। মৃতের স্ত্রী ও প্রতিবেশী যুবককে আটক করেছে বংশীহারি থানার পুলিশ।
জানা গেছে, বংশীহারী থানার পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছালে এলাকার বাসিন্দারা ক্ষোভে ফেটে পড়েন এবং মৃতদেহ নিয়ে যেতে বাধা দেন। এরপর পুলিশ বাহিনী পৌঁছে মৃতদেহ উদ্ধার করে নিয়ে আসে। মৃতের অনুপ সরকারের বয়স ৫০। এলাকাবাসীর অভিযোগ অনুসারে, স্ত্রী প্রতিবেশী কয়েকজনের সাহায্য নিয়ে গতকাল রাতে মদের আসর বসেছিল বাড়িতে। এরপর তার স্বামীকে খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ মৃতের স্ত্রী ও অপু প্রামানিক বলে একজনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। মৃতের স্ত্রীর নাম কাঞ্চন সরকার (৩৫)।
উল্লেখ্য, এর আগে পূর্ব বর্ধমানের কালনাতেও একই ধরনের একটি ঘটনা ঘটে। বন্ধুর স্ত্রীর সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক। তাই বন্ধুকে খুন করে সন্দেহ এড়াতে জখম হওয়ার নাটক। কালনার নান্দাই এলাকায় এমনই অভিযোগ উঠেছিল এক যুবকের বিরুদ্ধে। বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের কারণেই খুন বলে প্রাথমিক তদন্তে অনুমান পুলিশের। অভিযুক্তকে আটক করেছে পুলিশ। স্থানীয় সূত্রে খবর, মোকশেদ শেখ ও মানিক মণ্ডল দুই বন্ধুর একে অন্যের বাড়িতে যাতায়াত ছিল। অভিযোগ, মোকশেদের স্ত্রীর সঙ্গে মানিকের বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক তৈরি হয়। পথের কাঁটা বন্ধুকে সরাতে তাঁকে খুনের ছক কষে মানিক। এরপর ঘুরতে যাওয়ার নাম করে মোকশেদকে নির্জন জায়গায় নিয়ে গিয়ে কুপিয়ে খুন করার পর, নিজেকেও কোপায় সে। আটক করার পর অভিযুক্তকে হাসপাতালে ভর্তি করে পুলিশ। খবর পেয়ে হাসপাতালে চড়াও হয় মৃতের পরিবার। পরিস্থিতি সামাল দেয় কালনা থানার পুলিশ।এরপর অভিযুক্ত দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। তারা জেরায় খুনের কথা স্বীকার করে নিয়েছে বলেও দাবি করেছে পুলিশ।