কলকাতা: ভবানীপুর উপনির্বাচনে বিজেপি প্রার্থীর সমর্থনে প্রচারে এসে কালীঘাট মন্দিরে পুজো দিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি। এরপর কলকাতা পুরসভার ৭২ নম্বর ওয়ার্ডে প্রিয়ঙ্কা টিবরেওয়ালকে নিয়ে প্রচারে নামেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। এর আগে ভবানীপুরের বিজেপি প্রার্থীর সমর্থনে প্রচার করেন আরেক কেন্দ্রীয় হরদীপ সিং পুরী ও বিজেপির জাতীয় মুখপাত্র সম্বিত পাত্র।
এদিন বিজেপি প্রার্থীর হয়ে প্রচারে নেমে তৃণমূল নেত্রী কথা ভবানীপুর আসনের প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করেছেন স্মৃতি ইরানি। তিনি বলেছেন, নন্দীগ্রামে হেরেছেন, স্বার্থের জন্য ভবানীপুরে লড়ছেন।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেছেন, ভবানীপুরে প্রার্থী হওয়া মমতার বাধ্যবাধকতা। প্রচারে নেমে বলছেন, না জিতলে মুখ্যমন্ত্রী থাকতে পারবেন না। গত বিধানসভা নির্বাচনে ভবানীপুর ছেড়ে গিয়েছিলেন তিনি। এখন এখান থেকে ব্যক্তিগত অ্যাজেন্ডা নিয়ে লড়তে হচ্ছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। এলাকার উন্নয়নের জন্য নয়।
স্মৃতির আক্রমণের জবাব দিয়েছেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা তৃণমূল নেতা ফিরহাদ হাকিম। তিনি বলেছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কোনও একটি কেন্দ্রের নন, তিনি সারা বাংলার।
ভবানীপুর উপনির্বাচনের দিন ঘোষণার পর থেকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমর্থনে জোরকদমে প্রচারে নেমেছেন ফিরহাদ হাকিম। শনিবার সকালেও চেতলায় নিজের এলাকায় অলিগলিতে ঘুরে চলে প্রচার। বাড়ি বাড়ি ঘুরে লিফলেটও বিলি করেন মন্ত্রী।এদিন স্মৃতি ইরানির মন্তব্যর জবাবে বলেছেন, সারা বাংলাই মমতার হৃদয়ে রয়েছে। তিনি কোনও জায়গা ছেড়ে যাননি। স্মৃতি ইরানিরা পর্যটক। আসেন, চলেও যান। এখন সাঁস-বহুর নাটক করছেন, এসবের মূল্য নেই। এতে কোনও লাভ নেই।
গতকাল সম্বিত পাত্রের প্রচারকেও গুরুত্ব দিতে চাননি ফিরহাদ। এদিন স্মৃতি ইরানির প্রচারকেও এভাবে কটাক্ষ করেছেন মন্ত্রী। তিনি বলেছেন, গত নির্বাচনে বিজেপির প্রচারে হেভিওয়েটদের পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু সেখানে হেরে এখন আর হেভিওয়েটদের কাউকে দেখা যাচ্ছে না। এখন লাইট ওয়েটদের পাঠানো হচ্ছে, যাঁদের কেউ চেনে না।
গতকাল সম্বিত পাত্র সম্পর্কে ফিরহাদের মন্তব্যের জবাব এদিন দিয়েছেন বিজেপির সদ্যপ্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেছেন,কদিন পর এমন পরিস্থিতি হবে উনি বলবেন, মমতা ব্যানার্জি কে আমি চিনিনা। যাঁরা বড় বড় কথা বলেছিলেন তারা এখন রাস্তায় হাঁটছেন। বিজেপিকে হালকাভাবে নিয়েছিলেন, এখন অলিগলিতে কেন ঘুরছেন? এত কাজ করেছেন, বাড়িতে বসে থাকুন। বিজেপি রাস্তায় নেমেছে, আজ বুঝতে পারছেন বিজেপি কী। দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে। সুগার বেড়ে যাচ্ছে, সিনিয়র নেতাদের রাস্তায় বসে চা খেতে হচ্ছে। লড়াইটা ওদের বাড়ি অব্দি পৌঁছে দিয়েছি।