মুন্না আগরওয়াল, বালুরঘাট, (দক্ষিণ দিনাজপুর): জেলা নেতৃত্বকে না জানিয়ে কেন কর্মিসভা? এ নিয়ে প্রশ্ন তুলে দক্ষিণ দিনাজপুরের (South Dinajpur) বালুরঘাটে (Balurghat) শহর তৃণমূল (TMC) সভাপতিকে শোকজ করলেন জেলা তৃণমূল (TMC) সভাপতি। যা নিয়ে তুঙ্গে উঠেছে শাসকদলের দুই নেতার তরজা। কটাক্ষ করেছে বিজেপি (BJP)।


একটি শোকজের চিঠি। আর তা নিয়েই দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাটে তৃণমূলের অন্দরে শুরু হয়েছে বিতর্ক। জেলা নেতৃত্বকে না জানিয়ে কর্মিসভা করায় বালুরঘাটের (Balurghat) শহর তৃণমূল সভাপতিকে শোকজ করলেন তৃণমূলের (TMC) জেলা সভাপতি। পাল্টা জেলা সভাপতির শোকজ করার এক্তিয়ার নিয়েই প্রশ্ন তুললেন বালুরঘাটের শহর তৃণমূল সভাপতি!


যা নিয়ে ইতিমধ্যেই একে অপরের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছেন শাসকদলের দুই নেতা। ঘটনার সূত্রপাত ২০ মে। সেদিন বালুরঘাটের গুলমোহরে স্থানীয় কর্মী সমর্থকদের নিয়ে একটি কর্মিসভা করেন বালুরঘাটের শহর তৃণমূল সভাপতি বিমান দাস। এই কর্মিসভায় দক্ষিণ দিনাজপুরের তৃণমূল সভাপতি, জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান বা রাজ্যের কৃষি বিপণনমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি।   


জেলা তৃণমূল নেতৃত্বকে অন্ধকারে রেখে কেন কর্মিসভা করা হল সেই প্রশ্ন তুলে এবং এই কর্মিসভার ফলে দলে বিভাজনের ইঙ্গিত মিলেছে বলে অভিযোগ করে, বালুরঘাটের তৃণমূল সভাপতিকে শোকজ করেছেন জেলা তৃণমূল সভাপতি। 


২২ মে দেওয়া শোকজের চিঠির তিন দিনের মধ্যে উত্তর দিতে বলা হয়েছে। সেই সময়সীমা শেষ হচ্ছে বুধবার। তার আগেই জেলা সভাপতির শোকজ করার এক্তিয়ার নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন বালুরঘাটের শহর তৃণমূল সভাপতি।


বালুরঘাটের তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি বিমান দাসের কথায়, কেন শোকজ, বুঝলাম না। কর্মিসভায় সভাপতি বা চেয়ারম্যানকে ডাকার প্রয়োজন হয় না। আমার মনে হয়, জেলার সভাপতি রাজনৈতিক অস্থিরতায় ভুগছেন। খারাপ লাগলে ডেকে বলতে পারতেন। ৫ মে রাজ্য কমিটি সমস্ত জেলা সভাপতি ও চেয়ারম্যানকে ইন অ্যাকটিভ করে দিয়েছে। ওনার এক্তিয়ারই নেই শোকজ করার।


দক্ষিণ দিনাজপুরের তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি উজ্জ্বল বসাকের কথায়, বেশকিছু দিন থেকে দেখছি, অনেক ভুল পদক্ষেপ করছেন। ফেস্টুন লাগিয়ে কোথাও সভা করতে পারেন না। করলে অবশ্যই জানাতে হবে। টাউন সভাপতি কর্মিসভা করতে গেলে অনুমোদন দরকার। আমি কোনও রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে নেই। আগামী দিনে নতুন টাউন বা ব্লক সভাপতি হতে চলেছে।


শহর তৃণমূল সভাপতিকে শোকজ করা নিয়ে যখন শাসকদলের অন্দরে বিতর্ক দানা বেঁধেছে, তখন কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপি। জেলা বিজেপি সভাপতি বলেন, তৃণমূলের শেষের শুরু হয়ে গেছে। শুধুমাত্র ক্ষমতা দখল নিয়ে তাদের অন্তর্দ্বন্দ্ব রাস্তায় নেমে এসেছে। আগামী দিনে মানুষ এদের যোগ্য জবাব দেবে।