সঞ্চয়ন মিত্র, কলকাতা: বৃহস্পতিবারের মধ্যে দক্ষিণবঙ্গে (South Bengal) ঢুকতে পারে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু (South Western Monsoon Wind)। প্রাক বর্ষার বিক্ষিপ্ত বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি বাড়বে। আপাতত এমনই পূর্বাভাস। অন্য দিকে, উত্তরবঙ্গে (North Bengal) বর্ষা প্রবেশ করলেও তা থমকে রয়েছে মালদার (Malda) উপরে। আগামী ১৯ থেকে ২২ জুনের মধ্যে ফের সক্রিয় হতে পারে মৌসুমী বায়ু।
কবে বর্ষার কৃপা?
দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ুর যা মতিগতি, তাতে মঙ্গলবার থেকে বৃহস্পতিবারের দক্ষিণবঙ্গে বর্ষা ঢোকার অনুকূল পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। উত্তরবঙ্গে নির্ধারিত সময়ের পাঁচ দিন পরে বর্ষা ঢুকেছিল। দক্ষিণবঙ্গে অবশ্য পরিস্থিতি অনুকূল হতে তার থেকেও দেরি হবে। কলকাতায় বর্ষা প্রবেশের স্বাভাবিক দিন ১১ জুন। উত্তরবঙ্গে ঝেঁপে এসেছে বর্ষা। আগামী ৭২ ঘণ্টায় উত্তরের দিকের জেলায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হওয়ার পূ্র্বাভাস রয়েছে। আরও পাঁচ দিন ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা থাকছে। বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টির সম্ভাবনা উত্তরবঙ্গের সব জেলাতে। সোম ও মঙ্গলবার প্রবল বৃষ্টির সতর্কতা। ২০০ মিলিমিটার পর্যন্ত বৃষ্টির সতর্কতা কোচবিহার আলিপুরদুয়ার জলপাইগুড়ির কিছু অংশে। পার্বত্য এলাকায় ভারী বৃষ্টিতে ভূমিধসের সম্ভাবনাও থাকছে। নিচু এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা। ভারী বৃষ্টির সতর্কতা রয়েছে দার্জিলিং ও কালিম্পং জেলায়। হালকা মাঝারি বৃষ্টি হবে মালদা উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুরে।
দক্ষিণবঙ্গে মঙ্গলবার থেকে বৃষ্টি বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে চরম অস্বস্তিকর আবহাওয়া থাকবে আরও ৪৮ ঘন্টা। পশ্চিমের পাঁচ জেলায় চরম তাপপ্রবাহ চলবে আজও। আরও চার জেলায় তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তা। বাকি জেলাতেও গরম ও অস্বস্তিকর আবহাওয়া। বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকবে দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সব জেলাতে। বৃষ্টির পরিমাণ বাড়বে মঙ্গলবার থেকে। কলকাতা আংশিক মেঘলা আকাশের পূর্বাভাস থাকছে। হালকা বৃষ্টি হলেও দিনভর অস্বস্তিকর আবহাওয়া বজায় থাকবে। স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি আর্দ্রতায় অস্বস্তি মাত্রা ছাড়িয়েছে। বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা বৃষ্টির কিছুটা সম্ভাবনাও রয়েছে, এই যা আশার কথা। মঙ্গলবার থেকে বৃষ্টি বাড়বে। আজ সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৩০.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের তুলনায় ৩ ডিগ্রি বেশি। গতকাল বিকেলে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৫.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। স্বাভাবিকের থেকে যা ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি। বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ ৫৯ থেকে ৯২ শতাংশ। এই মুহূর্তে বৃষ্টির অপেক্ষায় হাপিত্যেশ করে বসে রয়েছে মহানগর। ছিটেফোঁটা বৃষ্টি ও সন্ধে হলে সামান্য় হাওয়ায় অস্বস্তি কাটার নামগন্ধ নেই। শেষ জোড়া কালবৈশাখীর জেরে রেড রোডে ভেঙে পড়েছিল গাছ, বিপর্যস্ত হয়েছিল ট্রেন চলাচল। সব মিলিয়ে তীব্র গরম থেকে স্বস্তি মিলেছিল অনেকটাই। কিন্তু তার পরও বেশ কয়েকটা দিন কেটে গিয়েছে।
আরও পড়ুন:চেক লেখার সময় এই কাজটি করলে মুহূর্তে ফাঁকা হতে পারে অ্যাকাউন্ট!