সঞ্চয়ন মিত্র এবং ময়ূখ ঠাকুর চক্রবর্তী, কলকাতা: পুজো শেষ৷ আজ উমাকে বিদায় জানানোর পালা।  বাপের বাড়িতে চার দিন কাটিয়ে আজ সন্তানদের নিয়ে শ্বশুরবাড়িতে ফিরছেন উমা৷ আনন্দের উত্সবে বিষাদের সুর। সকাল থেকেই শোভাবাজার রাজবাড়িতে শুরু হয়েছিল বিসর্জনের প্রস্তুতি৷ দশমীর সকালে পুজোর পর দর্পণে বিসর্জন হয়। এরপর প্রতিমাকে বরণ করে, কনকাঞ্জলি দিয়ে বিদায় জানানো হয় মহামায়াকে৷                            


এরপর বাহকের কাঁধে চেপে, শোভাবাজার রাজবাড়ি থেকে শোভাযাত্রা করে বাগবাজার ঘাটে রওনা দেন ঘরের মেয়ে।                                                              


প্রসঙ্গত, শোভাবাজার রাজবাড়ির প্রতিমা কাঁধে করে প্রায় ৪০ জন নিয়ে যান বিসর্জনের ঘাট পর্যন্ত। সেখান থেকে দুই বিশেষ নৌকার মাঝে বসানো হয় প্রতিমা। তারপর মাঝ গঙ্গায় ধীরে ধীরে দু পাশে সরানো হয় দুই নৌকাকে। ঠাকুর বিসর্জন হয়ে যায়। শোভাবাজার রাজবাড়ির এই বিশেষ বিসর্জন পর্ব দেখতে ভিড় করেন দেশ বিদেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ। বিসর্জনের আগে ঘাটে নীলকন্ঠ পাখি উড়িয়ে দেওয়া হয়। যদিও আগে নীলকন্ঠ পাখিই ওড়ানো হত। তবে এখন কাগজের পাখি বানিয়ে তা বেলুনে করে উড়িয়ে দেওয়া হয়।                                                         


আরও পড়ুন, রাজ্যবাসীকে বিজয়ার শুভেচ্ছাবার্তা মুখ্যমন্ত্রীর 


এই বাড়ির পুজোয় ঠাকুর ভাসানে নৌকার ভূমিকা থাকে। শোভাবাজার ঘাট থেকে দুটি নৌকার মাঝে বসানো হয় প্রতিমা। বাড়ির সদস্যরা, সেবাইতরা প্রত্যেকেই ভাগাভাগি করে থাকেন দুই নৌকায়। প্রতিমা বাঁধা হয় একাধিক বাঁশ এবং কাছি বা দড়ির সাহায্যে। মাঝ গঙ্গায় নৌকা নিয়ে যাওয়ার পরে, ধীরে ধীরে সরানো হয় বাঁশগুলি। তার পরে প্রতিমা রাখা থাকে দড়ির ওপরে৷ আস্তে আস্তে সেটা ছাড়া হয়। তাতেই প্রতিমা দুই নৌকার মাঝে নদীতে পড়ে বিসর্জন হয়ে যায়।