কলকাতা : নন্দীগ্রাম নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ঝাঁঝালো আক্রমণ করেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। ২৪ ঘণ্টাও পেরল না। এবার 'দিদি'র হয়ে মুখ খুললেন কলকাতার প্রাক্তন মেয়র। শুভেন্দুকে কার্যত একহাত নিলেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। মমতাকে শুভেন্দুর আক্রমণের জবাব দিলেন শোভন ।
১৩ মার্চ রাতে এই বাড়ির ছাদে ছিলেন মমতা
রবিবার শুভেন্দু অধিকারী বলেন, "মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে (এই) বাড়ি থেকে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন, এই বাড়িতেই ছিলেন উনি। ২০০৭ সালের ১৪ মার্চ নন্দীগ্রাম হয়। ২০০৮ সালের ১৩ মার্চ রাতে এই বাড়ির ছাদে ছিলেন। নন্দীগ্রাম না হলে দিদি থেকে দিদিমা হতেন উনি। কোনও দিন মুখ্যমন্ত্রী হতেন না। সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এখন এই বাড়িতে সিআইডি, পুলিশ পাঠিয়েছেন। সামনে-পিছনে সিসিটিভি ক্যামেরা বসিয়েছেন। ভাইপোর কোম্পানি রয়েছে, ওই ভাটাংশু আর যাদের দেখেন। এই বাড়ির সামনে দিয়ে মিছিল করে আমার ৮৪ বছরের পিতৃদেব এবং ৭৫ বছরের মাতৃদেবী, যাঁরা নার্সের নজরদারিতে থাকেন, গত এক বছর ধরে তাঁদের বিব্রত করা হচ্ছে।" রবিবার এই কটাক্ষ করেন শুভেন্দু অধিকারী।
‘ইতিহাস বিকৃত করছেন শুভেন্দু'
শুভেন্দুর আক্রমণের জবাব দিয়ে শোভন বলেন, ‘ইতিহাস বিকৃত করছেন শুভেন্দু, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় না থাকলে সাংসদ বা মন্ত্রী হতে পারতেন না শুভেন্দু’। কলকাতার প্রাক্তন মেয়র আরও বলেন, ‘মমতাকে আক্রমণ করলে জবাব মিলবে’। এদিন ভিডিও পোস্ট করে শোভন বলেন, নন্দীগ্রামের ঘটনার দিন তিনি ছিলেন মমতার সঙ্গে। শুভেন্দুর কাঁথির বাড়ি থেকে নন্দীগ্রামে যাওয়ার যে দাবি শুভেন্দু অধিকারী করেছেন, তা ঠিক নয়। শোভনের এই পাল্টা জবাব নিয়ে রাজনৈতিক মহলে তৈরি হয়েছে জল্পনা।
প্রেক্ষাপট
রবিবার সন্ধেয় কাঁথির শান্তিকুঞ্জে পৌঁছন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। শিশির অধিকারীর সঙ্গে সাক্ষাৎই উদ্দেশ্য বলে জানান। সেখানে দরজার বাইরে তাঁকে স্বাগত জানান শুভেন্দু। সুকান্তর আগমনের নেপথ্যে রাজনৈতিক পটচিত্রের কথা জানতে চাইলে, উড়িয়ে দেন তিনি। শুভেন্দু বলেন, "এর মধ্যে রাজনীতি খোঁজার দরকার নেই। আমার পিতৃদেব এবং মাতৃদেবীর সঙ্গে সৌজন্য বিনিময় করতে এসেছেন উনি। উনিও তাঁদের কাছে পুত্রসমানই।"