বেলুড়: আজ শ্রীরামকৃষ্ণদেবের ১৮৮ তম জন্মতিথি। রাজ্যজুড়ে সারম্বরে পালিত হবে এই বিশেষ দিন। বেলুড় মঠ, হুগলী জেলার কামারপুকুরে বিশেষ উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। নানা অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে পালন করা হবে এই বিশেষ দিনটি।
প্রতিবছরের মতো এবছরও সকাল থেকেই বেদপাঠ, প্রার্থনা, স্তব ও স্তুতি, ভজন, সঙ্গীতানুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। বেলুড়মঠে ভোর ৪.৩০টেয় মঙ্গলারতি, বেদপাঠ এবং স্তবগান হবে। এরপর ভোর ৫.৩০-এ শ্রী শ্রী ঠাকুরের মন্দিরে ও মঠ প্রাঙ্গনে ঊষা-কীর্তন রয়েছে। এরপর সকাল ৭টা নাগাদ মন্দিরে বিশেষ পুজো ও হোমের আয়োজন করা হয়েছে। সকাল ৮টা থেকে ৯টা পর্যন্ত হবে শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণবন্দনা। ৯.০৫ থেকে ১০.৩০ পর্যন্ত শ্রী রামকৃষ্ণ কথামৃতপাঠ এবং ব্যাখ্যার অনুষ্ঠান রয়েছে।
সারাদিনই ভক্তিগীতি, শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণলীলাপ্রসঙ্গ পাঠ ও ব্যাখ্যা, বংশীবাদন অনুষ্ঠান, গীতিনাট্য, ভজন ও ধর্মসভার আয়োজন করা হয়েছে বেলুড়মঠে। এই ধর্মসভায় এবারের বিষয় শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণজীবন ও বাণী। সভাপতি স্বামী সুবীরানন্দ, বক্তা- স্বামী চেতনানন্দ (বাংলা), স্বামী ঈশাত্মানন্দ (ইংরেজি), স্বামী রাঘবেন্দ্রানন্দ (হিন্দি)। বেলা ১১টা থেকে ২টো পর্যন্ত মা সারদা সদাব্রত ভবনে প্রসাদ বিতরণ চলবে। সন্ধে ৬.০৫ মিনিট থেকে সন্ধ্যারতি শুরু হবে শ্রী শ্রী ঠাকুরের মন্দিরে।
আরও পড়ুন, দোলের আগেই শনির অবস্থান বদল, প্রভাব পড়তে চলেছে একাধিক রাশির জীবনে
কামারপুকুরে মঙ্গলবার সকালে ভোর ৪টে নাগাদ সানাই বাদন দিয়ে উৎসবের সূচনা করা হবে। এরপর মঙ্গলারতি, বেদপাঠ, স্তবগান। সকাল ৭.৩০ নাগাদ শোভাযাত্রা সহ কামারপুকুর তীর্থ পরিক্রমাও রয়েছে। এরপর হরিনাম সংকীর্তন, ১০.৩০ নাগাদ প্রসাদ বিতরণ রয়েছে। বিকেলে বাউল সঙ্গীত, ধর্মসভা, সন্ধ্যারতি এবং যাত্রাভিনয়ও রয়েছে।
তবে শুধু মঙ্গলবারই নয়। বুধবার এবং বৃহস্পতিবারও বেলুড় মঠ এবং কামারপুকুরে একাধিক উৎসব এবং অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।