কলকাতা : ফের পথে চাকরিপ্রার্থীরা। পথে ২০২৫-এ SSC-র নতুন চাকরিপ্রার্থীরা। এক লক্ষ শূন্য পদে নিয়োগের দাবি জানাচ্ছেন তাঁরা। রেজাল্টের দাবিতে মিছিলে ২০২৩-এর টেট পরীক্ষার্থীরাও।করুণাময়ী থেকে SSC ভবন পর্যন্ত মিছিল করছেন বিক্ষোভকারীরা।
মিছিল থেকে তাঁদের দাবি-দাওয়া নিয়ে জানান এক চাকরিপ্রার্থী। তিনি বলেন, "আপনারা জানেন, এই রাজ্য সরকার ১০ বছর পর নিয়োগ করছে। পরীক্ষা হয়েছে। পরীক্ষায় যাঁরা ফ্রেশার প্রার্থী তাঁরা পরীক্ষার দেওয়া পর দেখছেন, তাঁরা যদি ৬০-এ ৬০-ও পান, তাহলেও কোনও ডাক পাবেন না। কারণ, ৩১ হাজার শিক্ষক ইতিমধ্যে ইন-সার্ভিসের মধ্যে ঢুকে গেছেন। আমাদের যেটা দাবি, সিট সংখ্যা যা আছে তার থেকে ৩ গুণ বাড়াতে হবে। সংখ্যাটা ১ লক্ষের কাছাকাছি নিয়ে যেতে হবে। দুই নম্বর দাবি হল, ইন-সার্ভিসের জন্য এই যে ১০ নম্বর দিচ্ছে, কোথাও উল্লেখ নেই। গেজেটেও উল্লেখ নেই যে এই ১০ নম্বর পাবে। এটাও আমাদের দাবি যে, তাঁদের ১০ নম্বর দেওয়া যাবে না। ২০০১ সাল থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত লক্ষাধিক নিয়োগ হয়েছে। সেই জায়গায় ২০১২-২০২৪, একই সময়কাল, কিন্তু সংখ্যাটা দেখুন, তার ১০ ভাগও হয়নি। আজ একদিনের ডাকে আমরা সব ফ্রেশার প্রার্থীরা এসেছি। আমরা এসএসসি-র চেয়ারম্যানের সঙ্গে আলোচনা করে আমাদের দাবি জানাব।"
২০১৬- র প্যানেল বাতিল হওয়ায় যাঁরা চাকরি খুইয়েছেন, তাঁরাও এবার পরীক্ষা দিয়েছেন। ফ্রেশারদের থেকে ১০ নম্বর অতিরিক্ত পাবেন তাঁরা। এই বিষয়ে ফ্রেশার পরীক্ষার্থীদের অনেকেই বলছেন, এই অতিরিক্ত নম্বর পাওয়ার বিষয়টি তাঁদের চাকরি পাওয়ার ব্যাপারে সমস্যা হতে পারে। আর পুনরায় যাঁদের পরীক্ষা দিতে হচ্ছে, তাঁরা ৭-৮ বছর চাকরি করে ফেলেছেন। দীর্ঘ ৯ বছর পর সেই আগের মতো প্রস্তুতি নিয়ে পরীক্ষা দেওয়া, র্যাঙ্ক করা যে একপ্রকার অসম্ভব সেকথা আগেই জানিয়েছেন তাঁরা। তবে প্রথম দফার মতোই, দিনকয়েক আগে দ্বিতীয় দফাতেও নির্বিঘ্নেই এসএসসি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। আঁটসাঁট নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল। সমস্ত পরীক্ষা কেন্দ্রে মোতায়েন ছিল প্রচুর পুলিশ।
এদিকে ৫০ হাজার শূন্যপদে অবিলম্বে নিয়োগের দাবিতে দিনকয়েক আগে পথে নামেন টেট উত্তীর্ণরা। ২০২২-এর টেট উত্তীর্ণদের আচমকা বিধানসভা অভিযান ঘিরে রাজপথে উত্তেজনা ছড়ায়। পুলিশের সঙ্গে বচসা এবং ধস্তাধস্তি বেধে যায়। পুলিশকে কখনও কাকুতিমিনতি করতে দেখা যায় তাঁদের, কখনও কান্নায় ভেঙে পড়েন। ধর্মতলা মেট্রো স্টেশন থেকে বেরিয়ে আচমকা বিধানসভা ভবনের দিকে দৌড় দেন বিক্ষোভকারীরা। তাঁদের তাড়া করে পুলিশ। সেই সময় বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি শুরু হয়ে যায় পুলিশের।