কলকাতা: নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে (SSC Case) তেহট্টের তৃণমূল (TMC) বিধায়ক তাপস সাহার (Tapas Saha) বিরুদ্ধে জাল গোটাতে চাইছে সিবিআই (CBI)। তার জন্য এ বার নিজাম প্যালেসে তলব করা হল বিধায়কের প্রাক্তন আপ্ত সহায়ক প্রবীর কয়ালকে (Prabir Koyal)। আগামীকাল অর্থাৎ সোমবারই হাজিরা দিতে বলা হয়েছে তাঁকে। সিবিআই সূত্রে দাবি, দুই মাসে ২ কোটির টাকার বেশি ঢুকেছিল প্রবীরের অ্যাকাউন্টে।


কোথা থেকে এল এই বিপুল পরিমাণ টাকা!


এই বিপুল পরিমাণ টাকা কোথা থেকে, কী কারণে প্রবীরের অ্যাকাউন্টে জমা পড়েছিল, তা জানতে চায় সিবিআই। তেহট্টের তৃণমূল বিধায়ক তাপসের প্রাক্তন আপ্ত সহায়ক প্রবীরের বিরুদ্ধে চাকরি-বিক্রির একাধিক অভিযোগ ওঠে। পাল্টা তাপসের দিকেই যদিও আঙুল তুলেছিলেন প্রবীর। যদিও প্রবীরের সমস্ত অভিযোগই ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন তাপস। 


নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তে নেমে ইতিমধ্যেই তাপসের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছে সিবিআই। তাঁর বাড়ির আশপাশ, পুকুড়ের পাড়ও ঘুরে দেখেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। 


দুর্নীতির অভিযোগের তথ্য় তালাশে, ইতিমধ্য়েই তেহট্টের তৃণমূল বিধায়ক তাপস সাহার বাড়ি, গাড়ি, কার্যালয়, পুকুরপাড় কার্যত চষে ফেলেছে সিবিআই। তার পর বয়ারবাঁধায় প্রবীরের বাড়িতেও তল্লাশি চালানো হয়। তল্লাশি চালানো হয় হাওঢ়ার শ্যামপুরে প্রবীরের অন্য বাড়িতেও। সেখান থেকে বেশ কিছু নথিপত্র উদ্ধার হয় বলে গোয়েন্দা সূত্রে জানা গিয়েছে। 


আরও পড়ুন: Koustav Bagchi: 'অভিষেকের হয়ে লড়ছেন কেন, লজ্জায় পড়তে হচ্ছে আমাদের', সিঙ্ঘভিকে কড়া চিঠি কৌস্তভের


সিবিআই সূত্রে খবর, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারির শেষ দিকে থেকে এপ্রিলের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত, দু'মাসেরও কম সময়ে প্রবীরের দু'টি অ্যাকাউন্টে দু'দফায় ২ কোটি টাকার বেশি জমা পড়ে। বিধায়কের আপ্ত সহায়ক হিসেবে কাজ করা প্রবীরের অ্যাকাউন্টে এত টাকা কেন কোথা থেকে এল, কী কারণে এল, তা খতিয়ে দেখছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। সেই টাকা আদৌ প্রবীরের নাকি অন্য কারও, তা-ও জানার চেষ্টা চলছে।


সিবিআই-এর একটি সূত্র জানিয়েছে, জিজ্ঞাসাবাদে তাপসের দিকেই আঙুল তুলেছেন প্রবীর। তাঁর দাবি, তাঁকে দিয়েই চাকরিপ্রার্থীদের কাছ থেকে টাকা তোলেন তাপস। সেই টাকা তাপসের হাতেই তুলে দিতেন তিনি। প্রবীরের অ্যাকাউন্টে জমা পড়া টাকা কি তাহলে চাকরিপ্রার্থীদের কাছ থেকে পাওয়া টাকা, উত্তর খুঁজছেন গোয়েন্দারা।


তাপসের দিকেই আঙুল তুলেছেন প্রবীর


এ ছাড়াও, তাপস এবং প্রবীরের ছয়টি অ্যাকাউন্টে নজর রয়েছে গোয়েবন্দাদের।  কয়ালের ৬টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট। তাপস এবং প্রবীরের আত্মীয়.দের বাড়িতেও চালানো হয় তল্লাশি। প্রবীর যদিও তাপসের দিকেই আঙুল তুলেছেন, তবে সরকারি চাকরির টোপ দিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা তোলার অভিযোগে প্রবীর আগেও পুলিশের হাতে গ্রেফতার হন।