কলকাতা : চাকরিহারা এক শিক্ষককের মৃত্যুতে উত্তেজনা আরএন টেগোরে। হাসপাতালের সামনে বিক্ষোভ দেখান চাকরিহারা শিক্ষকরা। মৃত চাকরিহারা শিক্ষককের দেহ নিয়ে যেতে বাধা দেওয়া হয়। গাড়ির সামনে শুয়ে পড়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন কয়েকজন চাকরিহারা। 'চোরের মতো দেহ নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল', বলে অভিযোগ ওঠে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে তুমুল উত্তেজনা ছড়ায় ওই এলাকায়। 'সুবল হত্যার বিচার চাই', বলে স্লোগান তোলেন চাকরিহারা শিক্ষকরা। আরএন টেগোর হাসপাতালে মৃত্যু হয় পশ্চিম মেদিনীপুরেরর সুবল সোরেনের। চাকরি হারিয়ে মানসিক চাপে ছিলেন তিনি, এমনই দাবি করেছেন মৃতের স্ত্রী। আরএন টেগোর হাসপাতালে আজ সকালে তাঁর মৃত্যু হয়। বেশ কিছুদিন ধরে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন চাকরিহারা শিক্ষক। আজ সকালে স্ট্রোকে মৃত্যু হয় সুবল সোরেনের। 

বিস্তারিত...

মুকুন্দপুর আর এন টেগোর হাসপাতালের ৪ নম্বর এক্সিট গেটে সকাল থেকে অপেক্ষা করছিলেন চাকরিহারা শিক্ষক-শিক্ষিকারা। যখন তাঁরা শুনতে পান যে, সুবল সোরেন মারা গিয়েছেন, তখন থেকে তাঁকে শ্রদ্ধা জানাতে, তাঁর পরিবারকে সমবেদনা জানাতে চাকরিহারা শিক্ষক-শিক্ষিকারা এখানে এসে উপস্থিত হন। সকাল থেকে অপেক্ষা করার পর হঠাৎ করে দেখা যায়, একটা শববাহী গাড়ি সামনে দিয়ে বেরিয়ে যায়। প্রথমে তাঁরা বুঝতে পারেননি। পরবর্তী সময়ে আর একজন চাকরিহারা শিক্ষক এসে জানান, ওই গাড়িতেই দেহ তোলা হয়েছে সুবল সোরেনের। অর্থাৎ, পুলিশ কোনও কিছু না জানিয়েই সেই দেহ নিয়ে চলে যাচ্ছিল। এমনই অভিযোগ তোলেন তাঁরা। তাঁদের আরও অভিযোগ, পূর্ব-পরিকল্পিতভাবে যেভাবে অভয়ার ক্ষেত্রে দেহ নিয়ে চলে যাওয়া হয়েছিল পুলিশের তরফে, এক্ষেত্রেও তারা সেই প্রয়াসই করেছিল। এরপর সিগন্যালের কাছে এসে যখন গাড়ি আটকান, তখন চাকরিহারা শিক্ষক-শিক্ষিকারা রীতিমতো রাস্তায় শুয়ে পড়ে শববাহী গাড়ি আটকে দেন। এরপর সেই গাড়ি ঘিরে মিছিল করে মুকুন্দপুরের মেইন রোড ধরে বাইপাসের দিকে এগোতে থাকেন। 

ঘটনা প্রসঙ্গে এক চাকরিহারা শিক্ষক বলেন, "আমরা অপেক্ষা করছিলাম। আমাদের সহকর্মী। একজন যোগ্য শিক্ষক। গত কয়েকদিন ধরে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। আমরা খবরা-খবর নিচ্ছিলাম। আমাদের তরফে যতটা সাপোর্ট করার করছিলাম। সকালে খবর পাই, উনি আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন। সকাল থেকে অপেক্ষা করছিলাম, ওঁর মৃতদেহ নিয়ে শেষ শ্রদ্ধাটুকু জানাব। কিন্তু, পুলিশ কী করল ? যেভাবে অভয়ার মৃতদেহ লুকিয়ে  বেরিয়ে গিয়েছিল আর জি কর থেকে, সেই কায়দায় পুলিশ আর কিছু পারুক বা না পারুক, এই রাজ্য সরকারের সঙ্গে থেকে থেকে চুরির কাজটা বেশ ভালো শিখেছে। পুলিশ ঠিক আর জি করের স্টাইলে, আর জি করের কায়দায় মৃতদেহ নিয়ে চলে যাচ্ছিল একজন যোগ্য শিক্ষকের।