সৌভিক মজুমদার, কলকাতা: SSC এর নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়া কোনওভাবেই অংশ নিতে পারবে না চিহ্নিত দাগিরা, হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ ইতিমধ্যেই স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছে। 'এটা সত্যিই দুঃখজনক, বিভ্রান্তিকর যে, SSC -রাজ্য, চিহ্নিত দাগিদের সমর্থন করছে, সরকারি চাকরিতে প্রতারকদের উৎসাহিত করা, রাষ্ট্রের মৌলিক নীতি হতে পারে না,' এবার চিহ্নিত দাগিদের পাশে দাঁড়ানোয় রাজ্য কমিশনকে তুলোধনা ডিভিশন বেঞ্চের।
২৮ পৃষ্ঠার নির্দেশনামার ছত্রে ছত্রে কার্যত, স্কুল সার্ভিস কমিশন এবং রাজ্য সরকারের, সমালোচনা করা হয়েছে। মাননীয় বিচারপতিরা বলছেন, 'এটা সত্যিই দুঃখজনক, বিভ্রান্তিকর যে, SSC -রাজ্য, চিহ্নিত দাগিদের সমর্থন করছে।' কেন চিহ্নিত অযোগ্যদের পাশে কেন কমিশন আছে ? এখানেই বারবার প্রশ্ন উঠেছে। মাননীয় বিচারপতি, তার বিচার প্রক্রিয়ার মাঝে বলেছেন, কেন সরকার ও কমিশন এই চিহ্নিত অযোগ্যদের পাশে থাকবে ? সেই প্রশ্ন কিন্তু আরও একবার উঠল। তার পাশাপাশি তিনি কিন্তু বলেছেন, সরকার ও কমিশনের তরফ থেকে, নীতি গ্রহণ করা হয়েছে যে, তাঁরা, চিহ্নিত অযোগ্য বা প্রতারকদের পাশে থাকবেন, এটা কোনও রাজ্য বা রাষ্ট্রের কোনওরকম মৌলিক নীতি হতে পারে না।
মাননীয় বিচারপতি সৌমেন সেন, তিনি তাঁর নির্দেশনামায়, আরও একবার স্পষ্ট করেছেন, এই মামলার যখন সওয়াল জবাব হচ্ছে, সেই সময় স্কুল সার্ভিস কমিশনের আইনজীবী, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় তিনি কিন্তু স্পষ্টত বলেছিলেন, যেহেতু সুপ্রিম কোর্টের পক্ষ থেকে এই চিহ্নিত অযোগ্যদের চাকরি বাতিল করা হয়েছে, এবং তার পাশাপাশি এদেরকে বেতন ফেরৎ দিতে বলা হয়েছে, সেহেতু এই যারা চিহ্নিত অযোগ্য রয়েছেন, তাঁদের নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে, কার্যত কোনওরকম বাধা নেই। কিন্তু সেখানেই মাননীয় বিচারপতিদের পর্যবেক্ষেণ হচ্ছে, প্রতারণার মাধ্যমে এই চাকরি হয়েছিল। কেউ যদি প্রতারণার মাধ্যমে এই চাকরি পেয়ে থাকে, এবং তার কারণে যদি একটা শুন্য পদ তৈরি হয়, তাহলে সেই শুন্যপদ পূরণ করার জন্য আবার যদি কোনও নিয়োগপ্রক্রিয়া শুরু হয়, সেই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় কিন্তু সেই চিহ্নিত অযোগ্য প্রার্থী বা সেই প্রতারক অংশগ্রহণ করতে পারবে না। এটা আজকের নির্দেশনামায় সেটা স্পষ্ট করে বলা হয়েছে।