কলকাতা: সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে ২০১৬ সালের স্কুল সার্ভিস কমিশনের পুরো প্য়ানেল বাতিল হওয়ায়, অযোগ্যদের সঙ্গে চাকরি গেছে হাজার হাজার যোগ্য শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীর। ঠিক এমনই এক পরিস্থিতিতে বিজেপি সাংসদ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেছেন, এখনও সময় আছে। চাকরিহারাদের বাঁচাতে তৈরি করা হোক কমিটি।'এখনও যোগ্য ও অযোগ্য বাছাই করা সম্ভব' মুখ্যমন্ত্রীর কাছে কমিটি গঠনের আবেদন হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি ও বিজেপি সাংসদ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের। ঠিক এই পয়েন্টেই তীব্র আপত্তি জানিয়ে তোপ দাগলেন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। স্পষ্ট বললেন, 'এটা রাজনীতি, এর সমাধান সূত্র আছে নাকি !'

Continues below advertisement

আরও পড়ুন, কে পড়াবে বিজ্ঞান ? মালদায় একই স্কুলে চাকরি গেল ৮ জন শিক্ষকের ! চেনা মুখগুলির আর যে দেখা পাবে না পড়ুয়ারা...

Continues below advertisement

এদিন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'এটা তো রাজনীতির কথাবাত্রা হল। আজকে আর কোনও এর সমাধান সূত্র আছে নাকি, উনি তো গতকাল মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ চেয়েছিলেন। আবার এখন উনিই থাকবেন, বিকাশ ভট্টাচার্য থাকবেন, কমিটিতে কে কে থাকবে, সেও বলে দেবেন !এটা তো রাজনীতিকরণের জন্য উনি বলছেন।আইন অনুযায়ী পদক্ষেপ হবে। সুপ্রিম কোর্ট যেটা করেছে, সেই রাস্তাতেই সমাধান আছে। এখানে কোনও সেটেলমেন্ট হয় না, যাতে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়-সহ বিজেপি নেতারা দালালি করে বেড়াবে।'

মূলত, এবিপি আনন্দকে দেওয়া এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে বিজেপি সাংসদ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়দাবি করেছেন, কারা যোগ্য প্রার্থী আর কারা অযোগ্য, তা আজও আলাদা করা সম্ভব। আর সেই কাজ করার জন্য, মুখ্যমন্ত্রীর কাছে রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে একটি কমিটি গঠনের আর্জি জানিয়েছেন তিনি। তমলুক বিজেপি সাংসদ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, এই যারা জালিয়াতি করে চাকরি পেয়েছে এবং যারা সত্যি সত্যি ভাল ভাবে, সৎ ভাবে পরীক্ষা দিয়ে চাকরি পেয়েছে, তাদের আলাদা করা আজও সম্ভব। এই যে ছেলেগুলোর ভাগ্যবিপর্যয় নেমে এসেছে, এখান থেকে ওদের উদ্ধার করতেই হবে। আমরা ওদের চেয়ে বয়সে অনেক বড়।' 

এবিপি আনন্দকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে, মুখ্যমন্ত্রীকে 'দিদি' বলে সম্বোধন করে চাকরি-জট কাটাতে কমিটি গঠনের আর্জি জানিয়েছেন তমলুকের বিজেপি সাংসদ। অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন,মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তাঁকে আজ আমি 'দিদি' বলেই সম্বোধন করব, যেহেতু রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠতে বলছি। দিদি এই মুহূর্তে যেন একটি কমিটি গঠন করেন এবং কেন করবেন এটা বলছি। এই ২৬ হাজার লোকেদের, ছেলেদের বিপর্যয় থেকে উদ্ধার করতে হবে। আমরা লিস্টটা তৈরি করে ফেলতে পারব বলে আমি আজও মনে করি। কোনও কারণে লিস্টটা হয়নি। আমি সেই রাজনীতিতেও যাব না। এই লিস্টটা তৈরি করে আমরা সুপ্রিম কোর্টে আবার একটা রিভিউ পিটিশন করতে পারি যে, "হুজুর, এদেরকে ক্ষমা করুন। এদের কোনও দোষ নেই। এদের কোনও দোষ নেই। যারা দোষ করেছে, তাদের লিস্ট আমরা দিয়ে দিচ্ছি, তাদের বাদ দিন, যারা দোষ করেনি তাদের চাকরিটা থাক।" এটুকুই বলব এবং আপনাদের চ্য়ানেলের মাধ্যমে আমি এই আবেদন দিদির কাছে রাখছি।'