কলকাতা: আগামীকাল চাকরিহারাদের সঙ্গে বৈঠক করবে রাজ্য সরকার (SSC Case)। বৈঠকে থাকবেন শিক্ষামন্ত্রী। বিকাশ ভবনের বৈঠকে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু ছাড়াও থাকবেন এসএসসির চেয়ারম্যান, মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি-সহ শিক্ষা দফতরের আধিকারিকরা। চাকরিহারাদের অনেকেই বৈঠকে যাবেন বলে জানিয়েছেন। 

চাকরিহারাদের সঙ্গে বৈঠক রাজ্যের: SSC আদালতে যোগ্য়দের তালিকা জমা করেনি। একসঙ্গে বাতিল হয়ে গেছে প্রায় ২৬ হাজার চাকরি। পথে বসেছেন যোগ্য শিক্ষকরাও, চাকরি চাইতে গিয়ে খেয়েছেন পুলিশের লাথি-লাঠি। এই আবহে এবার শুক্রবার এসএসসি অভিযান কর্মসূচির দিনই চাকরিহারাদের নিয়ে বৈঠকে বসতে চলেছেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। থাকবেন এসএসসির চেয়ারম্যান, মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি-সহ শিক্ষা দফতরের আধিকারিকরাও। শুক্রবার করুণাময়ী থেকে মিছিল করে এসএসসি দফতরে যাবেন চাকরিহারা শিক্ষকরা। ১৬ এপ্রিল দিল্লিতে যন্তরমন্তরের সামনেও অবস্থান বিক্ষোভের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা।

এই বৈঠক প্রসঙ্গে চাকরিহারা চিন্ময় মণ্ডল বলেন, "শিক্ষামন্ত্রী এবং অন্যান্য যাঁরা থাকবেন, আধিকারিকরা, তাঁদের সঙ্গে আমরা অবশ্যই বৈঠকে যাব। OMR-এর মিরর ইমেজ প্রকাশ করুন, দুই, যোগ্য আর অযোগ্যদের তালিকা আলাদা করে সার্টিফাই করে, বিভিন্ন জায়গায় প্রকাশ করা হোক এবং তিন, যত হার্ড ডিস্ক পাওয়া গেছে, সমস্ত OMR গুলো যেন প্রকাশ করা হয়, সবার সামনে সত্যতা পরিষ্কার হওয়া দরকার।''

চাকরিহারাদের এখন একটাই দাবি, সামনে আনা হোক OMR শিটের মিরর ইমেজ। আলাদা করা হোক যোগ্য-অযোগ্যদের। এই দাবিকে সামনে রেখেই শুক্রবার এসএসসি ভবন অভিযানের ডাক দিয়েছেন চাকরিহারারা। চাকরিহারা এক শিক্ষিকা বলেন, "মৌখিক বার্তাটা শুনতে শুনতে আমরা ক্লান্ত। এখন যেটা কথা, কোর্ট কারও আশ্বাসে রায় দেবে না। রায় দেবে তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে। সেই তথ্য প্রমাণটা হচ্ছে মিরর ইমেজ আর যোগ্যদের লিস্ট। ব্যস এটুকুই আমাদের দাবি।''

এদিকে আন্দোলন নিয়ন্ত্রণে উর্দিধারীদের এই ভূমিকা নিয়ে শুরু হয়েছে সমালোচনার ঝড়। সমালোচনার মুখে পড়ে বুধবারই পুলিশ সূত্রে জানানো হয়, পুলিশকর্মীরা মার খাওয়ার পর, উন্মত্ত বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিচার্জ করা হয়। এদিন কয়েকটি ভিডিও ক্লিপ পোস্ট করে কলকাতা পুলিশের ফেসবুক পেজে লেখা হয়েছে, একটি ক্লিপে এক প্রতিবাদকারীকে 'পেট্রোল দিয়ে জায়গাটা জ্বালিয়ে দাও' বলতে শোনা যাচ্ছে। এই ধরনের অবিরত আগ্রাসী আচরণের মুখোমুখি হয়ে, কলকাতা পুলিশ আত্মরক্ষার্থে সামান্য বলপ্রয়োগ করতে এবং উচ্ছৃঙ্খল ভিড় ছত্রভঙ্গ করতে বাধ্য হয়।