কলকাতা : "লিখিত পরীক্ষায় পাস না করা ২২২ জনকে SSC-র অফিস থেকেই স্ক্যান করা সই করে সুপারিশপত্র দেওয়া হয়েছিল।" এবার গ্রুপ সি (Group C) নিয়োগ-মামলাতেও বিস্ফোরক রিপোর্ট ঘিরে চাপানউতোর। নাম জড়িয়েছে একাধিক প্রাক্তন ও বর্তমান পদাধিকারীর। আজ কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) জমা পড়া অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি রঞ্জিত বাগ কমিটির রিপোর্টে (Ranjit Bag Committee Report) কাদের কী ভূমিকা ছিল তার উল্লেখ করা হয়েছে।


এই নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এর আগে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিত্‍ গঙ্গোপাধ্যায়। তার ওপর স্থগিতাদেশ দিয়েছিল বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চ। সেই বেঞ্চেই আজ মামলার শুনানি হল। জমা পড়ে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি রঞ্জিত বাগ কমিটির রিপোর্ট। কলকাতা হাইকোর্ট গঠিত বাগের নেতৃত্বাধীন অনুসন্ধান কমিটির রিপোর্টে, মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়ের এবং পর্ষদের কর্মী রাজেশ লায়েকের নাম উঠে এসেছে। নাম জড়িয়েছে  SSC’র প্রাক্তন উপদেষ্টা শান্তিপ্রসাদ সিন্হারও।


আরও পড়ুন ; "শিক্ষার সর্বনাশ করছে এই সরকার !", বাগ-কমিটির রিপোর্ট নিয়ে রাজ্যকে তুলোধনা সুজন-রাহুলের


রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, শান্তিপ্রসাদ সিনহা ভুয়ো সুপারিশপত্র কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়কে দিতেন। তারপর কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায় সেই সুপারিশপত্রের ভিত্তিতে টেকনিক্যাল অফিসার রাজেশ লায়েককে দিয়ে নিয়োগপত্র তৈরি করতেন।


সেইসঙ্গে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের অনুমোদনের ভিত্তিতে যে উপদেষ্টা কমিটি হয়েছিল, তা বেআইনি বলে দাবি করা হয়েছে রিপোর্টে।  


রিপোর্টে বলা হয়েছে, মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পরও ৩৮১ জনকে সুপারিশপত্র দেওয়া হয়েছিল। ৩৮১ জনের মধ্যে ২২২ জনের নাম কোনও প্যানেল বা ওয়েটিং লিস্টে ছিল না। এঁরা পার্সোনালিটি টেস্টে অংশ গ্রহণ করেননি। কারণ এঁরা কেউ লিখিত পরীক্ষায় পাস করেননি।    
 
এই রিপোর্ট সামনে আসার পরই রাজ্যের বিরুদ্ধে সরব হন বিরোধীরা। রাজ্য সরকারকে তুলোধনা করেছেন সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী ও বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা-রা।