কলকাতা: নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে চাকরি বাতিল। এসএসসি গ্রুপ ডি (SSC Group-D) নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে ৫৭৩ জনকে বরখাস্তের নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের। মামলার শুনানিতে কলকাতা হাইকোর্টের (Kolkata High court) পর্যবেক্ষণ, নিয়োগে ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে। অবিলম্বে অভিযুক্তদের বেতন বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তাঁরা যে বেতন এখন অবধি পেয়েছেন, তা উদ্ধার করতেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে জেলা স্কুল পর্যবেক্ষককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারির মধ্যে এ ব্যাপারে রিপোর্ট পেশের নির্দেশ দেওযা হয়েছে। অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি আর কে বাগের কমিটিকে এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, এসএসসি গ্রুপ-ডি (কর্মী নিয়োগে ‘দুর্নীতি’-র অভিযোগের বিষয়ে অনুসন্ধানে সময় চেয়েছিল কমিটি। অনুসন্ধান শেষ করতে আরও সময় চেয়েছিল আদালত নিযুক্ত কমিটি। এর আগে ৭ ফেব্রুয়ারির মধ্যে অনুসন্ধান কমিটিকে রিপোর্ট দিতে বলেছিল হাইকোর্ট । যদিও নির্ধারিত সময়ের থেকে আরও কিছুটা সময় চেয়েছিল কমিটি।
উল্লেখ্য, গত ডিসেম্বরে গ্রুপ ডি (Group D) নিয়ে সিবিআই অনুসন্ধানের নির্দেশ খারিজ করে দেয় হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। বিচারপতি হরিশ টন্ডন, রবীন্দ্রনাথ সামন্তর বেঞ্চ এই নির্দেশ খারিজ করে বিশেষ অনুসন্ধানকারী দল গঠন করে ডিভিশন বেঞ্চ।
অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি রঞ্জিত কুমার বাগের নজরদারিতে তৈরি হয় এই বিশেষ অনুসন্ধানকারীদল। এসএসসি-র (SSC) পক্ষে অনুসন্ধানকারী দলে ছিলেন আশুতোষ ঘোষ সহ মধ্যশিক্ষা পর্ষদের (West Bengal Board of Secondary Education) সহ-সচিব(প্রশাসন) পারমিতা রায়। দলে হাইকোর্টের আইনজীবী অরুণাভ বন্দ্যোপাধ্যায়। ২ মাসের মধ্যে আদালতে রিপোর্ট দেওয়ার কথা ছিল এই বিশেষ দলের। দলের সমস্ত ব্যয়ভার বহনের দায়ভার ছিল রাজ্যের ওপরে।
গত ২২ নভেম্বর স্কুলে গ্রুপ-ডি কর্মচারী নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ সংক্রান্ত মামলায় CBI’কে দিয়ে অনুসন্ধানের নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। অর্থাৎ, নিয়োগের জন্য যে সুপারিশপত্রগুলি দেওয়া হয়েছিল, সেগুলি কে ইস্যু করেছিল? এর পিছনে কাদের হাত রয়েছে? কোনও দুষ্কৃতীচক্র আছে কি না? প্রাথমিকভাবে তা খোঁজ খবর নিয়ে দেখবে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা CBI এমনইটাই, নির্দেশ দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।
সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয় রাজ্য সরকার, স্কুল সার্ভিস কমিশন এবং মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। এরপরই এসএসসি গ্রুপ ডি ‘দুর্নীতি’ মামলায় অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশের ওপর স্থগিতাদেশ দেয় ডিভিশন বেঞ্চ। একইসঙ্গে স্কুল সার্ভিস কমিশন ও পর্ষদকে নিয়োগ সংক্রান্ত সব নথি জমা দেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়। সবদিক পর্যালোচনা করে সিবিআই অনুসন্ধানের নির্দেশ খারিজ করে দিয়েছিল হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ।