সনৎ ঝা, দার্জিলিং: 'পুরনো বিজেপি দিচ্ছে ডাক, এবার শিলিগুড়িতে দিদিই থাক', পুরভোটের আগে শিলিগুড়ি জুড়ে পড়েছে এমনই পোস্টার। যা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক বিতর্ক। বিজেপির কটাক্ষ, তৃণমূলের এমনই অবস্থা এ ধরনের পোস্টার লাগাতে হচ্ছে। তৃণমূলের পাল্টা দাবি, তাদের জয় এমনিতেই নিশ্চিত, এটা গেরুয়া শিবিরের সঙ্গে বাম-কংগ্রেস জোটের ষড়যন্ত্রের ফল। 


আদি-নব্য দ্বন্দ্ব। পোস্টার ফেলেছে তৃণমূল। শিলিগুড়ি পুরসভার ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি প্রার্থী শঙ্কর ঘোষ বলেন, "এখানে পুরনো বিজেপির বিষয় নয়, যাদের হারের সম্ভাবনা বেশি তারা শাসক দলের। তারাই এসব করছে।" দেখে বোঝা যাচ্ছে এটা তৃণমূলের কাজ। হার নিশ্চিত তাই এধরনের পোস্টার। দার্জিলিংয়ের তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র বেদব্রত দত্ত বলেন, "কেউ হয়তো এই ফ্লেক্স দিয়ে চালাকির রাজনীতি করছেন। যে তিনদলের অপ্রকাশিত জোটের হতে পারে। অথবা কোনও একটা দলের চালাকির ফল হতে পারে।" 



এদিকে, দাঁইহাট পুরসভায় বিজেপি নেত্রীর ও তাঁর স্বামীর ছবি দিয়ে আপত্তিকর পোস্টার পড়েছে। এবার পাশাপাশি দুটি ওয়ার্ডে প্রার্থী হয়েছেন ওই দম্পতি। এরপরই গোটা শহরজুড়ে স্বামী-স্ত্রীর ব্যক্তিগত মুহূর্তের পোস্টার দেখা যায়। এ নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। বিজেপি নেত্রীর দাবি, তৃণমূল ভয় পেয়ে এ ধরনের পোস্টার ছাপিয়ে নোংরা রাজনীতি করছে। তৃণমূলের দাবি, এটা বিজেপির ঘরোয়া কোন্দল। কাটোয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন বিজেপি দম্পতি। 


অন্যদিকে, মনোনয়ন জমা দিতে আসা বিজেপি প্রার্থী ও নেতাদের আটকে রাখার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। বোলপুর পুরসভার ঘটনা। এদিন বিজেপি প্রার্থীরা মহকুমা শাসকের দফতরে মনোনয়ন জমা দিতে যান। অভিযোগ, সেইসময় তাঁদের মহকুমা শাসকের দফতরের সামনেই একটি ঘরে আটকে রাখে তৃণমূল কর্মীরা। সেই ছবি ফেসবুকে লাইভ করে অভিযোগ জানিয়েছেন স্থানীয় বিজেপি নেতা। এরপরই পুলিশ সেখানে হাজির হয়। জানলা দিয়ে অভিযোগ জানান বিজেপি নেতা। বিজেপির নাটক, অভিযোগ অস্বীকার তৃণমূলের।