প্রকাশ সিন্হা, কলকাতা: স্কুল শিক্ষক নিয়োগ-দুর্নীতি (SSC Recruitment Scam) মামলায় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা (CBI)-র দফতরে হাজিরা দিলেন শিক্ষা দফতরের প্রধান সচিব। সিবিআই সূত্রে খবর, এসএসসি-র উপদেষ্টা কমিটি গঠনের ফাইল পাঠিয়েছিলেন মণীশ জৈন (Manish Jain), জিজ্ঞাসাবাদে এমনটা জানান তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee)। তাই ডেকে পাঠানো হয় মণীশকে। কার নির্দেশে ফাইল পাঠিয়েছিলেন মণীশ? কার নির্দেশে গঠিত হয়েছিল উপদেষ্টা কমিটি? তাঁর কাছ থেকে জানার চেষ্টা চলছে বল গোয়েন্দা সূত্রে খবর। 


সিবিআই জেরার মুখে মণীশ জৈন 


শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির মামলায় এর আগে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, রাজ্যের বর্তমান শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন গোয়েন্দারা। সেই সময়ই মণীশের নাম উঠে আসে বলে জানা গিয়েছে। এর পর, মে মাসেই মণীশ এবং রাজ্যের বর্তমান শিক্ষা মন্ত্রী ব্রাত্য বসুর বিদেশ সফর বাতিল হয়। এসএসসি দুর্নীতি মামলায় অস্বস্তির জেরেই তাঁদের বিদেশ সফর বাতিল হয় বলে সেই সময় জল্পনা শুরু হয়। 


এসএসসি নিয়োগ সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটি গঠন নিয়ে প্রশ্ন উঠছিল শুরু থেকেই। সেই নিয়ে আগেই উপদেষ্টা কমিটির প্রাক্তন প্রধান এবং বাকিদের জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন গোয়েন্দারা। সম্প্রতি বিশদ তথ্য জানতে ডেকে পাঠানো হয় মণীশকেও। সেই মতো বৃহস্পতিবার সিবিআই-এর সামনে হাজিরা দিলেন তিনি। ওই কমিটির উপর কার নিয়ন্ত্রণ ছিল, জানতে চাইছেন গোয়েন্দারা। উপদেষ্টা কমিটির প্রাক্তন চেয়ার ম্যান শান্তি প্রসাদ সিংহকেও এ নিয়ে আগে জেরা করেছেন গোয়েন্দারা।


আরও পড়ুন: Dilip Ghosh: 'গরু বা কয়লা চুরি করিনি, শুধু শুধু হেনস্থা', জামিন পেয়ে বললেন দিলীপ


শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত একের পর এক মামলায় রাজ্যের নেতা-মন্ত্রী থেকে শিক্ষা দফতরের কর্তা-আধিকারিকদের নাম উঠে এসেছে। এই সংক্রান্ত একেধিক মামলা কলকাতা হাইকোর্টের বিচারাধীন। যোগ্যতার নিরিখে নয়, ব্যক্তিগত যোগাযোগকে কাজে লাগিয়ে বহু জন চাকরি পেয়েছিলেন, কোনও কোনও ক্ষেত্রে আবার প্রভাব-প্রতিপত্তি খাটিয়ে চাকরি পাইয়ে দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ করে আসছেন চাকরিপ্রার্থীরা। সেই সংক্রান্ত একাধিক মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ পর্যন্ত দিয়েছে আদালত। 

 

নিয়োগের একাধিক মামলা সিবিআই-এর হাতে

 

এখনও পর্যন্ত এসএসসি মামলায় রাজ্যের দুই হেভিওয়েট মন্ত্রী পার্থ এবং পরেশের নাম জড়িয়েছে। পরেশের মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারীকে বেআইনি ভাবে চাকরি পাইয়ে দেওয়া হয় বলে জানায় আদালত। ইতিমধ্যেই চাকরি থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে তাঁকে। তাঁর চাকরিটি দেওয়া হয়েছে মামলাকারী ববিতা সরকারকে। অঙ্কিতার এ যাবৎকালীন আয়ও ববিতাকে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।