বিশ্বজিৎ দাস, পশ্চিম মেদিনীপুর: বিধি লঙ্ঘন মামলায় জামিন নিতে গিয়ে শাসকদল তৃণমূলকে (TMC) নিশানা করলেন বিজেপি-র (BJP) সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। আদালতকে ব্যবহার করে রাজ্যের পুলিশ এবং প্রশাসন বিরোধীদের হেনস্থা করছেন বলে অভিযোগ করেন তিনি। তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ থাকলেও, তাঁদের কিছু হয় না, শুধু শুধু তাঁকে অপদস্থ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন দিলীপ। 


খড়্গপুর আদালতে বিধি লঙ্ঘন মামলায় জামিন পেলেন দিলীপ ঘোষ


পৌর নির্বাচন চলাকালীন গত ফেব্রুয়ারি মাসে খড়্গপুরে (Kharagpur) গিয়ে বাধাপ্রাপ্ত হন দিলীপ। সেখানে সাংসদের জন্য বরাদ্দ বাংলোয় থাকতে গিয়েছিলেন তিনি। দিলীপের অভিযোগ, খড়্গপুরের ভোটার নন বলে সেখানে তাঁকে নোটিস ধরানো হয়।  জানিয়ে দেওয়া হয়, তিনি খড়্গপুরে থাকতে পারবেন না।  সেখানে থাকতে পারবেন না বলে জানানো বলে অভিযোগ। দিলীপের দাবি, জেলাশাসকও তাঁকে এলাকা ছেড়ে চলে যেতে বলেন। কিন্তু তিনি তাতে কর্ণপাত করেননি। 


আরও পড়ুন: Mamata Makes Momo: পাহাড়ে মমতার হাতের মোমো, ফেরার আগে ফের অন্য মেজাজে মুখ্যমন্ত্রী


সেই ঘটনাই আদালত পর্যন্ত গড়ায়। এ দিন খড়্গপুর মহকুমা আদালতে জামিন নিতে যান দিলীপ। সেখানে তাঁর জামিন মঞ্জুরও হয়ে যায়। আর তার পরই চাঁচাছোলা ভাষায় তৃণমূলকে নিশানা করেন তিনি। দিলীপ বলেন, "আমি গরু চুরি করে বা কয়লা চুরি করে কোর্টে আসিনি। সিন্ডিকেট বা কাটমানি চক্র চালিয়েও কোর্টে আসিনি আজ। খড়্গপুরে যে দিন পৌরভোট ছিল, সাংসদ হিসেবে খড়্গপুর টাউনে ছিলাম। প্রশাসন বলছিল, থাকা যাবে না। আমি বলেছিলাম, সাংসদ হিসেবে থাকতেই পারি। তার জন্য আমার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।"


দিলীপ আরও বলেন, "সেই দিন তৃণমূলের দুই বিধায়ক, যাঁরা খড়্গপুরেরই নন, সারাদিন দাপিয়ে বেড়ালেন এলাকায়। তাঁদের বিরুদ্ধে কোনও মামলা হল না। আমি পদে আসীন সাংসদ। এখানকার মানুষ আমাকে জিতিয়েছেন।  আমার বিরুদ্ধেই মামলা করা হল। এই ভাবে বাংলার পুলিশ এবং প্রশাসন আদালতকে ব্যবহার করছে।"


তৃণমূলকে তীব্র কটাক্ষ দিলীপের


এ দিন মেট্রে স্টেশন উদ্বোধননিয়ে কেন্দ্র-রাজ্য সংঘাত নিয়েও মুখ খোলেন দিলীপ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আমন্ত্রণ জানানো বিতর্ক নিয়ে সম্প্রতি মেট্রোর চাকা বসিয়ে দেবেন বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র। প্রত্যুত্তরে দিলীপ এ দিন বলেন, "চাকা বসিয়ে দেওয়ার দম নেই ওঁর। সব সময় প্রকৃতিস্থ থাকেন না উনি। রকখন কী বলেন, করেন, কিছুর ঠিক নেই।"