কৃষ্ণেন্দু অধিকারী, কলকাতা: কর্মশিক্ষা, শারীরশিক্ষায় ওয়েটিং লিস্টে সবার চাকরি। উচ্চ প্রাথমিকে শূন্যপদের তালিকা প্রকাশ করল এসএসসি (SSC Recruitment)। ১০ নভেম্বর থেকে নিয়োগের জন্য এসএসসির কাউন্সেলিং (Upper Primary Recruitment)। শারীরশিক্ষায় ৮২৩, কর্মশিক্ষায় ৫৮১ জনের নিয়োগের সিদ্ধান্ত। আগেই ২টি বিষয়ে ১৬০০ পদ তৈরি করেছিল সরকার। এবার ওয়েটিং লিস্টে থাকা ১৪০৪ জনের নিয়োগের সিদ্ধান্ত (Physical Education) (Work Education)।


উচ্চ প্রাথমিকের শারীর ও কর্মশিক্ষায় কাউন্সেলিংয়ের বিজ্ঞপ্তি


নিয়োগ দুর্নীতি মামলা এখনও চলছে আদালতে। তার মধ্যে এই প্রথম নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হল। তাতে বলা হয়েছে, ওয়েটিং লিস্ট বা অপেক্ষমান তালিকায় থাকা সকলের চাকরি হবে। আগামী ১০ নভেম্বর থেকে তার জন্য শুরু হবে কাউন্সেলিং। বৃহস্পতিবার রাতে এই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। উচ্চ প্রাথমিকের শারীরশিক্ষা এবং কর্মশিক্ষার শূন্যপদ পূরণে নিয়োগের ঘোষণা করা হয়েছে। কাউন্সেলিংয়ের অর্থ পছন্দের স্কুল বেছে নেওয়া হবে। 


এর আগে, রাজ্য সরকারের তরফে শারীরশিক্ষায় ৮৫০ এবং কর্মশিক্ষায় ৭৫০টি পদ তৈর করা হয়েছিল। বৃহস্পতিবার সেই মর্মে প্রকাশিত হল কাউন্সেলিংয়ের বিজ্ঞপ্তি। ওই বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, অপেক্ষমান তালিকায় থাকা শারীরশিক্ষা বিভাগের ৪২৩ জন এবং কর্মশিক্ষা বিভাগে ৫৮১, অর্থাৎ ১ হাজার ১ হাজার ৪০৪ জনের চাকরি হবে। 


আরও পড়ুন: Cattle Smuggling Case: দুই দিনে ১৪ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ, দিল্লিতে আজও ইডি-র দফতরে হাজিরা দিলেন অনুব্রত-কন্যা


এ দিকে, শুক্রবারই গাঁধীমূর্তির পাদদেশের ধর্না অবস্থান ৬০০ দিনে পড়ছে। সেই নিয়ে বিতর্কের মধ্যে, শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু জানিয়েছেন, আন্দোলন মানেই চাকরি নয়। টেট পাস মানে চাকরি পাওয়া নয় নিশ্চিত। সেই আবহেই প্রকাশ পেল উচ্চ প্রাথমিকের শারীর ও কর্মশিক্ষায় কাউন্সেলিংয়ের বিজ্ঞপ্তি।


অপেক্ষমান সব প্রার্থীরই চাকরি, সামনে এল বিজ্ঞপ্তি


এ দিকে, এবছরের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায়, অংশ নিতে পারবেন ২০১৪ এবং ২০১৭’র একুশজন টেট অনুত্তীর্ণ। বৃহস্পতিবার এই নির্দেশ দিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। মামলাকারীদের আইনজীবীরা এদিন আদালতে সওয়াল করেন, টেটে ৫৪.৬৭ শতাংশ নম্বর ৫৫ শতাংশ হিসেবেই গণ্য হয়। এরপরই ওই প্রার্থীদের ফর্ম পূরণের অনুমতি দেন বিচারপতি।


২০১৭ সালে ৮টি প্রশ্ন ভুল ছিল, যা নিয়ে মামলা বিচারাধীন। ২০১৪ সালে ৬টি প্রশ্ন ভুল ছিল, যা নিয়ে মামলা ডিভিশন বেঞ্চে বিচারাধীন। এই সওয়াল জবাবের পরই বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দেন। মোট ২১ জন অনুত্তীর্ণ, ২০২২’এর প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগপ্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারবেন। তাঁদের ফর্ম পূরণ করার অনুমতি দিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। 


মাসখানেক আগেই ১১ হাজার শূন্যপদে নিয়োগের কথা জানিয়েছিল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। তারপর প্রাথমিকের টেট এবং প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি হয়েছে।